ছদ্মবেশে অপহরণকারীদের ডেরা থেকে ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করল পুলিস
ছদ্মবেশে অপহরণকারীদের ডেরায় গিয়ে অপহৃত ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করল পুলিস। ১৭ অগাস্ট মালদহের গাজোল থেকে অপহৃত হন শঙ্করপুরের বাসিন্দা, পেশায় ব্যবসায়ী বিদ্যুত মালাকার। মুক্তিপণ চেয়ে ফোন আসে বাড়িতে । অভিযোগ পেয়েই ডিএসপির নেতৃত্বে টিম গড়ে তদন্তে নামে পুলিস।
ওয়েব ডেস্ক: ছদ্মবেশে অপহরণকারীদের ডেরায় গিয়ে অপহৃত ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করল পুলিস। ১৭ অগাস্ট মালদহের গাজোল থেকে অপহৃত হন শঙ্করপুরের বাসিন্দা, পেশায় ব্যবসায়ী বিদ্যুত মালাকার। মুক্তিপণ চেয়ে ফোন আসে বাড়িতে । অভিযোগ পেয়েই ডিএসপির নেতৃত্বে টিম গড়ে তদন্তে নামে পুলিস।
মালদহের গাজোল থানার শঙ্করপুরের বাসিন্দা বিদ্যুত মালাকার বিভিন্ন মেলার সংগঠক। ১৭ অগাস্ট মেলার বিষয়ে আলোচনার জন্য ফোনে তাঁকে ডেকে পাঠানো হয় ইংরেজবাজারে। ইংরেজবাজারে পৌছলে পুরাতন মালদহের মঙ্গলবাড়িতে আসতে বলা হয় তাঁকে। মঙ্গলবাড়ি থেকে বাইকে করে নিয়ে যাওয়া হয় একটি গ্রামে। সেখানেই হাত, পা, চোখ বেঁধে একটি বাড়িতে আটকে রাখা হয় বিদ্যুত মালাকারকে। ১২ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে এরপরই ব্যবসায়ীর বাড়িতে ফোন যায়। ১৮ তারিখ মুক্তিপণ চেয়ে ফের ফোন। এরপরই গাজোল থানায় অপহরণের অভিযোগ দায়ের করে বিদ্যুতের পরিবার। তদন্তের জন্য ডিএসপি উত্তম ঘোষের নেতৃত্বে টিম গঠন করেন এসপি প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়।
তদন্তে নেমে বিদ্যুত মালাকারের বাড়ির লোক হয়ে অপহরণকারীদের সঙ্গে কথা বলতে শুরু করেন ডিএসপি। মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন দেখে পুলিস নিশ্চিত হয়, বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বিদ্যুতকে। শেষ পর্যন্ত ৬ লক্ষ টাকা মুক্তিপণে রফা হয় অপহরকারীদের সঙ্গে। ঠিক হয় কালিয়াচকের মোথাবাড়ি এলাকায় টাকা দিলে মুক্তি পাবেন বিদ্যুত মালাকার।
ছদ্মবেশে ডিএসপির নেতৃত্বে ৬ পুলিসকর্মী টাকা নিয়ে রওনা হন। ঘটনাস্থলে পৌছে অবশ্য অপহরণকারীদের টিকিও পায়নি পুলিস। একটি গাড়ির মধ্যে আচ্ছন্ন অবস্থায় পাওয়া যায় বিদ্যুত মালাকারকে। মোথাবাড়ি ফাঁড়িতে বয়ান নথিভুক্ত করিয়ে বিদ্যুত মালাকারকে শুক্রবার বাড়ি পৌছে দেয় পুলিস। এদিনই মালদহ মেডিক্যালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়েছে তাঁর।
অপহরণকারীদের খোজে তল্লাসি শুরু করেছে পুলিস। তবে অপহরণের কারণ নিয়ে ধন্দে রয়েছে পুলিস।