শিক্ষাক্ষেত্রে বিশৃঙ্খলা অব্যাহত, ফের টিএমসিপির হাতে নিগৃহীতা অধ্যক্ষা

ফের অধ্যক্ষ নিগ্রহের অভিযোগ উঠল টিএমসিপির বিরুদ্ধে। উত্তর দিনাজপুরের ইটাহারের মেঘনাদ সাহা কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সমর্থকদের হাতে নিগৃহীত হলেন অধ্যক্ষা স্বপ্না মুখার্জি। আসন সংখ্যা বৃদ্ধির দাবিতেই প্রায় ১০ ঘণ্টা অধ্যক্ষা সহ অন্যান্য অধ্যাপিকাদের ঘেরাও করে রাখল টিএমসিপি সমর্থকরা।

Updated By: Jul 4, 2012, 09:45 PM IST

ফের অধ্যক্ষ নিগ্রহের অভিযোগ উঠল টিএমসিপির বিরুদ্ধে। উত্তর দিনাজপুরের ইটাহারের মেঘনাদ সাহা কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সমর্থকদের হাতে নিগৃহীত হলেন অধ্যক্ষা স্বপ্না মুখার্জি। আসন সংখ্যা বৃদ্ধির দাবিতেই প্রায় ১০ ঘণ্টা অধ্যক্ষা সহ অন্যান্য অধ্যাপিকাদের ঘেরাও করে রাখল টিএমসিপি সমর্থকরা। অবশেষে, পুলিস এসে ঘেরাও মুক্ত করে অধ্যক্ষাকে। যদিও অধ্যক্ষার অভিযোগ, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সমর্থকদের জন্য ৩০ শতাংশ আসন সংরক্ষণের দাবিতেই তাঁকে ঘেরাও করা হয়েছে। তবে এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে কলেজের পরিচালন সমিতির সদস্য মুজাম্মল হক জানান, সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা বলছেন অধ্যক্ষা।
বুধবার দুপুর একটা থেকে ঘেরাও করে রাখা হয়েছে স্বপ্না মুখার্জিকে। স্বপ্নাদেবীর অভিযোগ, তাদের জন্য তিরিশ শতাংশ আসন সংরক্ষণের দাবি জানিয়েছিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। সেই দাবি মানতে না চাইলে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয় স্বপ্নাদেবীর ঘরে। পরে বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ ইটাহার থানার পুলিস এসে তালা খুলে অধ্যক্ষার সঙ্গে আলোচনায় বসে। আসেন বিডিও, আসেন ডিএসপি সদর, ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট সৌর মণ্ডল। পুলিস এসে তালা খুললেও স্বপ্নাদেবীকে ফের ঘেরাও করে টিএমসিপি সমর্থকেরা। প্রায় ৯ ঘণ্টা পর ঘেরাও তুলে নেওয়া হয়। টিএমসিপি-র দাবি, মেধার ওপর ভিত্তি করে ছাত্রছাত্রীদের যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল তাতে ভুল ছিল। তাছাড়া আগামিকাল থেকে কাউন্সেলিং শুরু হওয়ার কথা থাকলেও অনেক ছাত্রছাত্রীই তা জানেন না।  তাদের দাবি বন্ধ রাখতে হবে কাউন্সেলিং। সেই সঙ্গেই বাড়াতে হবে আসন সংখ্যাও।
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের হাতে নিগৃহীত হন রায়গঞ্জ কলেজের অধ্যক্ষ। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হলেও পরে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয় তাদের।
 

.