বঙ্গোপসাগরের ঘূর্নাবর্ত পরিনত হবে নিম্নচাপে, দাপট বাড়বে বৃষ্টির, জলমগ্ন বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ
বৃষ্টিতে হাবুডুবু দক্ষিণবঙ্গ। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দুর্যোগ আরও বাড়বে। সতর্কবার্তা আলিপুর আবহাওয়া দফতরের। এই মুহুর্তে রাজ্যে দুরন্ত ফর্মে বর্ষা। তারওপর যোগ হয়েছে ঘূর্নাবর্ত। উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের ওপর অবস্থানকারী ঘূর্নাবর্তটি আগামী কয়েকঘণ্টার মধ্যে পরিনত হবে নিম্নচাপে। যার জেরে দাপট বাড়বে বৃষ্টির। আবহাওয়া দফতরের আশঙ্কা, আগামিকাল সকাল আটটা পর্যন্ত কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে।
ওয়েব ডেস্ক: বৃষ্টিতে হাবুডুবু দক্ষিণবঙ্গ। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দুর্যোগ আরও বাড়বে। সতর্কবার্তা আলিপুর আবহাওয়া দফতরের। এই মুহুর্তে রাজ্যে দুরন্ত ফর্মে বর্ষা। তারওপর যোগ হয়েছে ঘূর্নাবর্ত। উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের ওপর অবস্থানকারী ঘূর্নাবর্তটি আগামী কয়েকঘণ্টার মধ্যে পরিনত হবে নিম্নচাপে। যার জেরে দাপট বাড়বে বৃষ্টির। আবহাওয়া দফতরের আশঙ্কা, আগামিকাল সকাল আটটা পর্যন্ত কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে।
টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন বর্ধমানের বিস্তীর্ণ এলাকা। কেতুগ্রামের এক নম্বর ব্লকের দশটি গ্রাম জলের তলায়। তার মধ্যে রয়েছে কেচুরি, চাকটা, মৌরী, মাজিনা, খরোচ, চিনিসপুর, কোজলসা। একনাগাড়ে বৃষ্টিতে বাড়ছে ময়ূরাক্ষীর জল। ভেঙে পড়েছে প্রায় একশোটি কাঁচা বাড়ি। ফ্লাড সেন্টারে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বহু মানুষকে। জলমগ্ন কালনার নতুন বাসস্ট্যান্ড। এছাড়াও ৮, ৯, ১০, ১২ নম্বর ওয়ার্ডের বেশ কিছু এলাকা জলমগ্ন।
টানা বৃষ্টিতে বেহাল মুর্শিদাবাদও। ফরাক্কার ইমামনগরের চোদ্দো-পনেরোটি গ্রাম জলের তলায়। জলে ডুবেছে ফিডার ক্যানেলের পশ্চিমপাড়ে সাত-আটটি গ্রাম।সুতির হাড়োয়া ও বহুতালির বেশকিছু এলাকা জলমগ্ন। কান্দি পুরসভার ৫-৬টি ওয়ার্ডও জলের তলায়।
বৃষ্টিতে ডুবেছে বীরভূমের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। জলবন্দি বিভিন্ন ব্লকের একশোটিরও বেশি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। সবথেকে খারাপ অবস্থা ইলামবাজার, দুবরাজপুর, লাভপুর , নানুর, পাড়ুইয়ের। ইলামবাজারে বেশ কিছু কাঁচাবাড়ি ভেঙে পড়েছে। শাল নদীর জলস্তর বাড়ায় ইলামবাজার ব্লকের বিভিন্ন পঞ্চায়েতের মধ্যে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। লাভপুরে কুয়ে নদীর জল বাড়ায় ডুবতে পারে লাঘাটা ব্রিজ।সেক্ষেত্রে বর্ধমান বীরভূমের মধ্যে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। বৃষ্টির সঙ্গে জল ছাড়া হচ্ছে ম্যাসাঞ্জোর, তিলপাড়া, দেউচা, বইধারা, হিংলো জলাধার থেকে। প্লাবনের আশঙ্কায় তিরিশটি গ্রাম থেকে প্রায় পাঁচহাজার মানুষকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।