হুমকি দিচ্ছে ধর্ষক, নিশ্চুপ পুলিস!
দশ বছরের এক বালিকাকে ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত গৃহশিক্ষক। মেডিক্যাল টেস্টে ধর্ষণ প্রমাণও হয়েছে। কিন্তু দেড় মাস কেটে গেলেও এখনও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিস। ফলে এখনও বিচারের অপেক্ষায় ওই নাবালিকার অসহায় পরিবার।
দশ বছরের এক বালিকাকে ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত গৃহশিক্ষক। মেডিক্যাল টেস্টে ধর্ষণ প্রমাণও হয়েছে। কিন্তু দেড় মাস কেটে গেলেও এখনও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিস। ফলে এখনও বিচারের অপেক্ষায় ওই নাবালিকার অসহায় পরিবার। ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে গত জানুয়ারি মাসে হুগলির দাদপুর থানা এলাকায়।
একের পর এক ধর্ষণের ঘটনার জেরে রাজ্যে মহিলাদের নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে। অভিযোগ বহুক্ষেত্রে পুলিস ও প্রশাসনের অসহযোগিতা সমস্যা বাড়িয়ে দিচ্ছে। সাম্প্রতিককালে পার্ক স্ট্রিট কাণ্ডে দিনের আলোর মতো স্পষ্ট হয়েছে এই ঘটনা। এরই মধ্যে ফের এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে অসহযোগিতার জন্য কাঠগড়ায় রাজ্য পুলিস।
অভিযোগ, গত ১৮ জানুয়ারি বক্রেশ্বর বামন্ডীতলার পঞ্চমশ্রেণীর এই ছাত্রীকে মুখে বালিশ চাপা দিয়ে ধর্ষণ করেন গৃহশিক্ষক। প্রথমে পান্ডুয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও পরে চুঁচুড়া সদর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় ওই ধর্ষিতাকে। সেখানেই চিকিত্সকদের রির্পোট থেকে জানা যায়, পাশবিক অত্যাচারের শিকার হয়েছে বছর দশেকের ওই বালিকা।
ঘটনার জেরে ২১ জানুয়ারি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় দাদপুর থানায়। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিসের তরফে ফের মেডিক্যাল পরীক্ষাও করানো হয় ধর্ষিতা বালিকার। কিন্তু তার পরিবারের অভিযোগ, এরপর আর কোনও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিস। এমনকি পুলিস সুপারের দারস্থ হয়েও সুরাহা হয়নি। অন্যদিকে অভিযুক্ত গৃহশিক্ষক তাঁদের লাগাতার হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ ওই পরিবারের।
যদিও পুলিসের দাবি ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত শিক্ষক পলাতক। তদন্তে গাফিলতির অভিযোগও উড়িয়ে দিয়েছে পুলিস। অন্যদিকে অসহায় ওই নাবালিকার পরিবারের অভিযোগ, পুলিস ব্যবস্থা না নেওয়া পর্যন্ত চূড়ান্ত আতঙ্ক এবং নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটছে তাঁদের।