পুনর্নির্বাচনেও কারচুপি, প্রহসন মঙ্গলকোটে
পুনর্নির্বাচনেও কারচুপি, প্রহসন মঙ্গলকোটে
পুনর্নির্বাচনেও কারচুপি। বুথে ঢুকে ইভিএমের পাশে দাঁড়িয়ে চলল নজরদারি। কখনও আবার অন্যের ভোট দিয়ে দেওয়া। আজ এই ছবি ধরা পড়ল মঙ্গলকোটের ৫৩ নম্বর বুথে। চব্বিশ ঘণ্টায় এই ছবি সম্প্রচারের পরই তত্পর হয় কমিশন। সরিয়ে দেওয়া হয় ওই বুথের প্রিসাইডিং অফিসারকে। যদিও ভোটে কারচুপির অভিযোগ অস্বীকার করেছে বর্ধমানের জেলাশাসক। (ছবি-গতকাল ভোটে শ্যামনগর আতপুরে তৃণমূলের হামলায় আহত সিপিআইএম কর্মী)
রাজ্যে তৃতীয় দফার ভোটে মঙ্গলকোটে ব্যাপক কারচুপির ছবিটা উঠে এসেছিল চব্বিশ ঘণ্টার ক্যামেরায়। বুথের ভেতরের সেই ছবিটা বদলায়নি মঙ্গলবারের পুনর্নির্বাচনেও। এদিন পুনর্নির্বাচন ছিল মঙ্গলকোটের দুটি বুথে। এর মধ্যে একটি লাখুরিয়ার চাকদা প্রাথমিক স্কুলের তিপ্পান্ন নম্বর বুথ। কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়াই ওই বুথে সকাল থেকে শুরু হয়েছিল ভোটগ্রহণ। কিন্তু বুথে ঢুকতেই দেখা গেল ইভিএমের সামনে ভোট দিচ্ছেন একসঙ্গে দুজন। ইভিএমের বোতাম টিপে অন্যের ভোট দিয়ে দেওয়ারও ছবিও উঠে আসে ক্যামেরায়।
চব্বিশঘণ্টায় এই ভিডিও সম্প্রচারের পরই নড়েচড়ে বসে কমিশন। জেলাশাসকের নির্দেশে ঘটনাস্থলে যান কাটোয়ার এসডিও। ইভিএমের কাছে একসঙ্গে থাকা দুজন স্বামী-স্ত্রী বলে দাবি করেন তিনি। দৃষ্টিহীন প্রার্থী যাচাই করতে গিয়ে এই ঘটনা ঘটে গিয়েছে বলে তাঁর দাবি।
প্রশাসনের তরফে ভোটে কারচুপির অভিযোগ অস্বীকার করা হলেও ওই বুথের প্রিসাইডিং অফিসারকে সরিয়ে দেওয়া হয়। কীভাবে ওই ঘটনা ঘটল তার কারণও জানতে চাওয়া হয়েছে প্রিসাইডিং অফিসারের কাছে।