অন্য দেশে নাশকতা চালাতে ব্যবহৃত হত খাগড়াগড়ের কারখানা, সরকারের রিপোর্টে নতুন বিতর্ক

বর্ধমান-কাণ্ডে রাজ্য সরকারের রিপোর্ট তৈরি করেছে আরেক বিতর্ক। রিপোর্টে বলা হয়েছে, খাগড়াগড়ের অস্ত্র কারখানা ভারত-বিরোধী কাজে ব্যবহার করা হতো না। বাংলাদেশে নাশকতা চালানোই উদ্দেশ্য ছিল বলে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। অন্য দেশে নাশকতা চালাতে আমার দেশের মাটি ব্যবহার করা হতো - এই ধরনের রিপোর্ট আন্তর্জাতিক মহলে ভারতের  অবস্থান দুর্বল করতে পারে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

Updated By: Oct 6, 2014, 07:08 PM IST
অন্য দেশে নাশকতা চালাতে ব্যবহৃত হত খাগড়াগড়ের কারখানা, সরকারের রিপোর্টে নতুন বিতর্ক

ওয়েব ডেস্ক: বর্ধমান-কাণ্ডে রাজ্য সরকারের রিপোর্ট তৈরি করেছে আরেক বিতর্ক। রিপোর্টে বলা হয়েছে, খাগড়াগড়ের অস্ত্র কারখানা ভারত-বিরোধী কাজে ব্যবহার করা হতো না। বাংলাদেশে নাশকতা চালানোই উদ্দেশ্য ছিল বলে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। অন্য দেশে নাশকতা চালাতে আমার দেশের মাটি ব্যবহার করা হতো - এই ধরনের রিপোর্ট আন্তর্জাতিক মহলে ভারতের  অবস্থান দুর্বল করতে পারে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বর্ধমান বিস্ফোরণে জঙ্গি যোগ দেশজুড়ে আলোড়ন তৈরি করেছে। বাংলাদেশি জঙ্গিরা কী ভাবে আমাদের দেশে ঢুকে অবাধে সন্ত্রাসবাদী কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে তা দিনের আলোর মতো পরিষ্কার হয়ে গেছে। অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিয়ে উঠে গেছে বড়সড় প্রশ্ন। বর্ধমান-কাণ্ডে বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠন জামাতুল মুজাহিদিনকে দায়ী করেছে রাজ্য সরকারের রিপোর্ট। রিপোর্টে বলা হয়েছে,

কওসর নামে এক বাংলাদেশি, নম্বরবিহীন মোটর সাইকেলে এসে খাগড়াগড়ের বাড়ি থেকে গ্রেনেড নিয়ে যেত।

সেই গ্রেনেড কোথায় যেত তার উল্লেখ রিপোর্টে স্পষ্টভাবে করা হয়নি।

তবে গ্রেনেডগুলি যে শুধুমাত্র বাংলাদেশে যেত, রিপোর্টে ঘুরিয়ে তার ইঙ্গিত করা হয়েছে।

বর্ধমান-কাণ্ডে এনআইএ রিপোর্টে বাংলাদেশি জঙ্গিদের পাশাপাশি সিমির জড়িত থাকার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু, রাজ্যের রিপোর্ট সিমি সম্পর্কে নীরব। আর, এই নীরবতার ব্যাখ্যা হিসাবেই কী বলা হল, খাগড়াগড়ের অস্ত্র কারখানা ভারত-বিরোধী কাজে ব্যবহার করা হতো না? বাংলাদেশে নাশকতা চালানোই ছিল উদ্দেশ্য? রাজ্য সরকারের এই রিপোর্ট কূটনৈতিক দুনিয়ায় ভারতের অবস্থানকে দুর্বল করতে পারে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বাংলাদেশের মাটিকে ভারত-বিরোধী কাজে ব্যবহার করতে না দেওয়ার জন্য ঢাকার কাছে বারবার দাবি করেছে দিল্লি। কূটনৈতিক মহলের মতে এ বার পাল্টা চাপ দেওয়ার সুযোগ পেয়ে গেল ঢাকাও। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এই রিপোর্টের পর ভারতের মাটিতে বাংলাদেশ-বিরোধী কাজকর্মের ব্লু-প্রিন্ট তৈরির অভিযোগ তুলে সরব হতে পারে তারা। সন্ত্রাসবাদ দমনে অন্যান্য দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক আলোচনার ক্ষেত্রেও সমস্যায় পড়তে পারেন সাউথ ব্লকের আমলারা। একই সঙ্গে এনআইএ-র গোয়েন্দারা বলছেন, জঙ্গিরা এখন আর কোনও দেশের ভৌগোলিক মানচিত্রে আটকে নেই। তাই, খাগড়াগড়ের বাড়ি থেকে বাংলাদেশি জঙ্গিরা যে ভারতে নাশকতার নীল নকশা তৈরি করছিল না, তা জোর দিয়ে বলা যায় কী করে?

 

.