সিঙ্গুরের সালতামামি
রাজ্য সরকারের সিঙ্গুর জমি আইনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বাইশে জুন কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন জানায় টাটা মোটরস। বিচারপতি সৌমিত্র পালের এজলাসে শুরু হয় শুনানি। টাটাদের আইনজীবী সমরাদিত্য পাল বলেন, সিঙ্গুর আইন অসংবিধানিক। সিঙ্গুরের জমি রাজ্য সরকার বন্টন করা বন্ধ করুক, এই মর্মে আদালতকে নির্দেশ জানানোর আর্জি জানান টাটা পক্ষের আইনজীবী।
রাজ্য সরকারের সিঙ্গুর জমি আইনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বাইশে জুন কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন জানায় টাটা মোটরস। বিচারপতি সৌমিত্র পালের এজলাসে শুরু হয় শুনানি। টাটাদের আইনজীবী সমরাদিত্য পাল বলেন, সিঙ্গুর আইন অসংবিধানিক। সিঙ্গুরের জমি রাজ্য সরকার বন্টন করা বন্ধ করুক, এই মর্মে আদালতকে নির্দেশ জানানোর আর্জি জানান টাটা পক্ষের আইনজীবী। কিন্তু এরকম কোনও নির্দেশ জারি করা থেকে বিরত থাকেন বিচারপতি। কলকাতা হাইকোর্টের এই অবস্থানকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আঠাশে জুন সুপ্রিম কোর্টে দারস্থ হয় টাটারা। যত দ্রুত সম্ভব এই মামলার রায় দান করতে কলকাতা হাইকোর্টকে নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। শুনানি চলাকালীন ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে এই মামলা থেকে সরে দাঁড়ান বিচারপতি সৌমিত্র পাল। মুখ্য বিচারপতির নির্দেশে মামলার দায়িত্ব নেন ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখার্জি।
টাটাদের মূল বক্তব্য ছিল, টাটা মোটরসকে ক্ষতিপূরণ না দিয়ে সিঙ্গুরের জমি ফেরত নেওয় আইন বিরুদ্ধ।সিঙ্গুর আইনের সঙ্গে আঠারোশ চুরানব্বিই সালের জমি অধিগ্রহণ আইনের স্ববিরোধ রয়েছে। আইনের চোখে অনিচ্ছুক কৃষকের কোনও ব্যখ্যা নেই। অনিচ্ছুক কৃষকদের জমি ফেরত দেওয়া জনস্বার্থ হতে পারে না।সরকার যুক্তি দেয়,অধিগ্রহণ নয়, সিঙ্গুরের জমি খাস করে নিয়েছে সরকার। প্রকল্প ছেড়ে চলে গিয়ে জমি অব্যবহৃত রেখেছিল টাটা মোটরস।অনিচ্ছুক কৃষকদের জমি ফেরত দেওয়া অবশ্যই জনস্বার্থ। সিঙ্গুর আইনে টাটা মোটরসকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও প্রসঙ্গ রয়েছে বলে জানায় সরকার পক্ষের আইনজীবীরা।
ষোলোই জুলাই টাটাদের বক্তব্য শেষের মধ্যে দিয়ে সিঙ্গুর মামলার শুনানি সমাপ্ত হয়. বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখার্জি জানান, সেপ্টেম্বরের মধ্যে মামলার রায়দানের চেষ্টা করা হবে. সেই মতো বুধবার রায় দেয় কলকাতা হাইকোর্ট.