মুখ্যমন্ত্রী তড়িঘড়ি স্কুল ঘোষণায় বিপাকে সিঙ্গুর কলেজ
নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল। তাই তড়িঘড়ি একটা স্কুল বাড়ির মাত্র ছটা ঘর নিয়ে চালু হয়েছিল আস্ত একটা কলেজ। সিঙ্গুর সরকারি কলেজ। তড়িঘড়ি সিদ্ধান্তের জেরেই এবার সমস্যায় মুখ্যমন্ত্রীর সাধের এই কলেজে। আগামিকাল থেকে শুরু উচ্চ মাধ্যমিক। সিট পড়েছে স্কুলে। অতএব বসবে না কলেজ। টানা ১৬ দিন বন্ধ থাকে কলেজের ক্লাস।
নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল। তাই তড়িঘড়ি একটা স্কুল বাড়ির মাত্র ছটা ঘর নিয়ে চালু হয়েছিল আস্ত একটা কলেজ। সিঙ্গুর সরকারি কলেজ। তড়িঘড়ি সিদ্ধান্তের জেরেই এবার সমস্যায় মুখ্যমন্ত্রীর সাধের এই কলেজে। আগামিকাল থেকে শুরু উচ্চ মাধ্যমিক। সিট পড়েছে স্কুলে। অতএব বসবে না কলেজ। টানা ১৬ দিন বন্ধ থাকে কলেজের ক্লাস।
নির্বাচনের আগে সিঙ্গুরের মানুষের জন্য একরাশ প্রতিশ্রুতির অন্যতম ছিল সরকারি কলেজ চালু করা। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে চালু করা হয় সিঙ্গুর সরকারি কলেজ। কিন্তু কলেজ শুধু নামেই। আসলে সিঙ্গুরের মহামায়া স্কুলের ছটি ঘর নিয়ে শুরু হয় কলেজের ক্লাস। কলেজের নিজস্ব কোনও বাথরুম বা পানীয় জলের ব্যবস্থা নেই। স্কুলই একমাত্র ভরসা। স্কুলেরই দেওয়ার কয়েকটি বেঞ্চে কোনওরকমে চলে ক্লাস। গোদের ওপর বিষ ফোঁড়ার মত এবার কলেজে এসেছে নতুন সার্কুলার। ১২ ই মার্চ থেকে শুরু হচ্ছে এবছরের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। মহামায়া স্কুলে পড়েছে পরীক্ষার সিট। পরীক্ষার সময় পরীক্ষার্থী ছাড়া স্কুল চত্বরে কারও ঢোকা নিষেধ। কিন্তু স্কুল চত্বরেই যে রয়েছে আস্ত একটা সরকারি কলেজ! তাতে কি? ইতিমধ্যেই মহামায়া স্কুলের সেন্টার ইনচার্জ চিঠি পাঠিয়েছেন কলেজ কর্তৃপক্ষকে । বলা হয়েছে, পরীক্ষার দিনগুলোতে কলেজে কোনওভাবেই পরীক্ষা নেওয়া, পড়াশুনার কাজ চালানো যাবে না।
সেই নির্দেশ মতই ১২ই মার্চ থেকে ২৮ শে মার্চ কলেজ চত্বরে পঠনপাঠন বন্ধ। ছাত্রছাত্রীদের প্রবেশ নিষেধ। কলেজ টেষ্ট পরীক্ষা হয়ে গেছে । সামনেই পার্ট ওয়ান পরীক্ষা। তাই চলছিল স্পেশাল ক্লাস । এবার নির্দেশের জেরে তাও বন্ধ করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। গোটা বিষয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ অবশ্য মুখ খুলতে রাজি হননি। সব মিলিয়ে, নিজস্ব ভবন না থাকার জন্য প্রায় ১৬ দিন পড়াশুনার যাবতীয় কাজ বন্ধ থাকবে কলেজে। প্রশ্ন উঠছে কার দোষে ছাত্রছাত্রীদের এই হয়রানি?