দু দফায় পঞ্চায়েত নির্বাচন চায় রাজ্য সরকার
ফের পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংঘাতে জড়াল রাজ্য সরকার। দুদফায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের সিদ্ধান্তে অনড় পঞ্চায়েত দফতর কমিশনের কাছে ফের চিঠি পাঠিয়েছে। চিঠিতে জানানো হয়েছে ২৪ এবং ২৭ এপ্রিল রাজ্যে দু দফায় পঞ্চায়েত নির্বাচন চায় রাজ্য সরকার। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তিন দিনে ভোট করার সিদ্ধান্তে অনড় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সরকার, কমিশন সংঘাতে তৈরি হয়েছে সংকট।
ফের পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংঘাতে জড়াল রাজ্য সরকার। দুদফায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের সিদ্ধান্তে অনড় পঞ্চায়েত দফতর কমিশনের কাছে ফের চিঠি পাঠিয়েছে। চিঠিতে জানানো হয়েছে ২৪ এবং ২৭ এপ্রিল রাজ্যে দু দফায় পঞ্চায়েত নির্বাচন চায় রাজ্য সরকার। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তিন দিনে ভোট করার সিদ্ধান্তে অনড় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সরকার, কমিশন সংঘাতে তৈরি হয়েছে সংকট।
মন্ত্রী মুখে যাই বলুন, পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংঘাতের পথেই হাঁটল রাজ্য সরকার। দু দফায় পঞ্চায়েত ভোট করানোর সিদ্ধান্ত জানিয়ে ফের নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছে পঞ্চায়েত দফতর। এনিয়ে মোট তিনবার কমিশনকে চিঠি দিল রাজ্য। প্রথমবার চিঠি দিয়ে রাজ্য জানায় একদফায় পঞ্চায়েত নির্বাচন করাতে চায় তারা। নির্বাচন কমিশন তিনদফায় ভোটের পরামর্শ দেয়। এরপর ফেব্রুয়ারিতে রাজ্য ফের চিঠি দেয় কমিশনকে। এবার জানানো হয় রাজ্য দু দফায় ভোট করাতে চাইছে। কিন্তু, নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় ছিল কমিশন। কমিশনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় রাজ্যে তিন দফাতেই ভোট চায় তারা।
কমিশনের আধিকারিকদের বৈঠকে বিভিন্ন জেলার জেলাশাসকরা গোলমালের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। কোনও কোনও জেলাশাসক তিন দফার বদলে পাঁচ দফাতেও ভোট চেয়েছেন। এক দফায় নির্বাচন হলে কোনও কোনও জেলাশাসক পুনর্নিবাচনের মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন
দিনকয়েক আগে, রাজ্যের নির্বাচনী আধিকারিক মীরা পাণ্ডে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন। কমিশনের সিদ্ধান্ত জানানো হয় রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানকে। এরপরই ফের রাজ্য সরকার কমিশনকে চিঠি দেয়। সরকার জানিয়ে দেয়, দু দফায় পঞ্চায়েত নির্বাচন করার সিদ্ধান্তে অনড় তারা অনড়। তবে, কংগ্রেসের দাবি রাজ্যে তিনদফায় পঞ্চায়েত নির্বাচন হোক।
শুধু দফা নয়, নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়েও কমিশনের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছে রাজ্য। পঞ্চায়েত নির্বাচনে কমিশন কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইলেও, চিঠিতে তানিয়ে কোনও উচ্চবাচ্য করেনি রাজ্য সরকার। নির্বাচন কমিশন ও রাজ্যের মধ্যে বেনজির সংঘাতে তৈরি হয়েছে সংকট।