বনধের তৃতীয় দিনেও থমথমে পাহাড়

মোর্চার ডাকা বনধের তৃতীয় দিনেও থমথমে পাহাড়। সকালে দার্জিলিংয়ে  জেলাশাসকের দফতরে সামনে সরকারি অফিস বন্ধের দাবিতে পিকেটিং শুরু করেন মোর্চা সমর্থকেরা। খবর পেয়ে পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে পিকেটিং তুলে দেয়। গ্রেফতার করা হয় চার মোর্চা সমর্থককে। অন্যদিকে তাকদা বনবাংলো ও পোখরিয়াবংয়ে পুলিস ফাঁড়িতে আগুন ধরানোর ঘটনায় গতকাল রাতে পুলিস আরও ১৬ জন মোর্চা কর্মীকে গ্রেফতার করেছে।

Updated By: Aug 5, 2013, 10:28 AM IST

মোর্চার ডাকা বনধের তৃতীয় দিনেও থমথমে পাহাড়। বিভিন্ন জায়গায় জ্বলছে উত্তেজনার আগুন।
পাহাড় বনধের খবর একনজরে-
১. গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে পাহাড় বনধের তৃতীয় দিনে সুর আরও চড়াল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। কালিম্পংয়ের দম্বরচকে আত্মঘাতী মোর্চা সমর্থক দম্বর সিং রাজপুতের শেষকৃত্যে আজ যোগ দেন মোর্চা সভাপতি বিমল গুরুং। সেখানে রাজ্যকে কড়া ভাষায় হুঁশিয়ারি দেন তিনি। বিমল গুরুং জানিয়ে দিয়েছেন বলপ্রয়োগ করে তাঁদের আন্দোলন দমন করার চেষ্টা করা হলে পরিণতির জন্য দায়ী থাকবে রাজ্য সরকারই। মঙ্গল সিং রাজপুতের মরদেহ নিয়ে শোকযাত্রাতেও উঠেছে রাজ্য সরকার বিরোধী স্লোগান। 
২. গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে পাহাড়ে ধর্মঘট সফল করার লক্ষ্যে আজ দার্জিলিংয়ে জেলাশাসকের দফতরের সামনে পিকেটিং করেন হাজার হাজার মোর্চা সমর্থক। কর্মীদের অফিসে ঢুকতে বাধা দেন তাঁরা। খবর পেয়ে পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে পিকেটিং তুলে দেয়। গ্রেফতার করা হয় চার মোর্চা সমর্থককে।
৩. তাকদা বনবাংলো ও পোখরিয়াবংয়ে পুলিস ফাঁড়িতে আগুন ধরানোর ঘটনায় গতকাল রাতে পুলিস আরও ১৬ জন মোর্চা কর্মীকে গ্রেফতার করেছে। মোংপুতে গাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনায় এক জিটিএ কাউন্সিলর আটক। আটক ব্যক্তির নাম রমেশ লামা
৪. সপ্তাহের প্রথম সোমবার আজ পাহাড়ে সমস্ত সরকারি দফতর খোলা থাকলেও, কর্মীরা কাজে যোগ দেননি। পাহাড়ে বিভিন্ন সরকারি কর্মচারী ও অস্থায়ী কর্মীদের সংগঠন গোর্খাল্যান্ডের দাবির সমর্থনে ধর্মঘটে সামিল হয়েছেন। অফিসগুলিতে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। মোর্চার ধর্মঘটের প্রভাব পড়েছে একত্রিশের এ জাতীয় সড়কেও।   
৫. মহাকরণ নয়, পাহাড়ে থেকেই পাহাড় সমস্যার মোকাবিলা করার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। সেই লক্ষ্যে দার্জিলিং যাচ্ছেন স্বরাষ্ট্রসচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে রাজ্য পুলিসের পদস্থ আধিকারিকদের একটি দলও পাহাড়ে যাবে। পাহাড়ে যাচ্ছে সিআইডির একটি দলও। আগামিকাল দার্জিলিং পৌঁছে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেবেন রাজ্য প্রশাসনের পদস্থ আধিকারিকরা। মোর্চার আন্দোলন মোকাবিলায় কেন্দ্রের কাছে অতিরিক্ত বাহিনী চাওয়া হতে পারে বলেও রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর। প্রয়োজনে মোর্চা নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসার পথও খোলা রাখা হচ্ছে। 
৬. সরকার সব মানুষকে সঙ্গে নিয়ে রাজ্যের উন্নয়ন চাইছে। কিন্তু ঈর্ষান্বিত হয়ে কিছু মানুষ রাজ্যে   রাজ্যে অশান্তি ছড়াতে চাইছে। গোর্খাল্যান্ড আন্দোলন নিয়ে এই মন্তব্য করলেন শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। 
৭. পাহাড়ের অশান্ত পরিস্থিতির জন্য মুখ্যমন্ত্রীকেই দায়ী করলেন ফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। তাঁর দাবি মুখ্যমন্ত্রীর প্রচারেই পাহাড়ের হাসি দেখা যায়। বাস্তব ছবি একেবারেই অন্য। 
৮. পাহাড়ের উত্তপ্ত পরিস্থিতির জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে বিঁধলেন বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র। তাঁর অভিযোগ, জিটিএ চুক্তির মধ্যেই ছিল বিছিন্নতার বীজ। তারই ফলশ্রুতি আজকের উত্তপ্ত পাহাড়। 

.