ধর্মঘটের প্রভাব সর্বাত্মক, পারদ চড়ল রাজ্য রাজনীতির
রাজ্যজুড়ে সর্বাত্মক প্রভাব পড়েছে ধর্মঘটের। আর সাধারণ ধর্মঘট সর্বাত্মক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজ্য রাজনীতির পারদ আরও চড়ল। মঙ্গলবারের ধর্মঘট নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, মানুষ প্রমাণ করেছেন, এরাজ্যে ধর্মঘটের ভবিষ্যত্ অন্ধকার।
রাজ্যজুড়ে সর্বাত্মক প্রভাব পড়েছে ধর্মঘটের। আর সাধারণ ধর্মঘট সর্বাত্মক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজ্য রাজনীতির পারদ আরও চড়ল। মঙ্গলবারের ধর্মঘট নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, মানুষ প্রমাণ করেছেন, এরাজ্যে ধর্মঘটের ভবিষ্যত্ অন্ধকার।
অপরদিকে বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্রর পাল্টা দাবি, ধর্মঘট শুরু হওয়ার আগেই তা সফল হয়ে গিয়েছে। তা বুঝেই আতঙ্কিত মুখ্যমন্ত্রী বেআইনি নির্দেশিকা জারি করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী আগেই হুমকি দিয়েছিলেন, ধর্মঘটের দিন রাজ্য সরকারের কর্মীরা কাজে যোগদান না করলে, তাঁর সার্ভিস ব্রেক হতে পারে। আবার রাস্তায় কেউ ধর্মঘটের সমর্থনে জোর-জুলুম করলে তার বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন।
ধর্মঘট শেষেও মুখ্যমন্ত্রী ফের হুঁশিয়ারি দিয়ে জানালেন, ধর্মঘটের দিন যাঁরা কাজে আসেননি, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাত্পর্যপূর্ণভাবে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের সুরে সুর মেলায়নি শরিক কংগ্রেস। ধর্মঘটে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে বলে দাবি না করলেও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্যের বক্তব্য, ধর্মঘটের কমবেশি সব জায়গাতে পড়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সরকারের কড়া অবস্থান বিরোধীদের জেদ বাড়িয়েছে। যা ধর্মঘট সফল হওয়ার পিছনে একটি বড় কারণ।