শীর্ষে কে? জানতে মহাকরণকে চিঠি সুলতানের
বনমন্ত্রী-বনকর্তা বিবাদের জেরে বন দফতরের প্রধান সচিবকে চিঠি দিলেন প্রধান মুখ্য বনপাল এম এ সুলতান। সম্প্রতি, প্রধান মুখ্য বনপাল সাধারণ নামে একটি পদ তৈরি করে অতনু রাহাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
বনমন্ত্রী-বনকর্তা বিবাদের জেরে বন দফতরের প্রধান সচিবকে চিঠি দিলেন প্রধান মুখ্য বনপাল এম এ সুলতান। সম্প্রতি, প্রধান মুখ্য বনপাল সাধারণ নামে একটি পদ তৈরি করে অতনু রাহাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
কাগজে-কলমে প্রধান মুখ্য বনপাল শীর্ষপদে থাকলেও অতনু রাহাকে বন দফতরের প্রশাসন, বাজেট সংক্রান্ত কাজকর্ম দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়। প্রধান মুখ্য বনপাল, না কি অস্থায়ী প্রধান মুখ্য বনপাল সাধারণ, কোনটি শীর্ষ পদ, তা জানতে চেয়ে রাজ্য সরকারকে চিঠি দিয়েছেন এম এ সুলতান। তিনি জানতে চান, যদি প্রধান মুখ্য বনপাল পদটিই শীর্ষ পদ হয়, তাহলে অস্থায়ী পদাধিকারীকে কেন বাজেট, প্রশাসন সামলানোর মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হল?
বন দফতরের শীর্ষপদ কোনটি? প্রধান মুখ্য বনপাল, না কি সদ্যসৃষ্ট অস্থায়ী পদ প্রধান মুখ্য বনপাল (সাধারণ)? জানতে চেয়ে বন দফতরের প্রধান সচিব সুবেশ দাসকে চিঠি দিলেন প্রধান মুখ্য বনপাল এম এ সুলতান। করাতকল নিয়ে বনমন্ত্রী হিতেন বর্মনের সঙ্গে বিবাদের জেরে ক্ষমতা খর্ব করা হয়েছে সুলতানের। চটজলদি প্রধান মুখ্য বনপাল (সাধারণ) পদ তৈরি করে ফিরিয়ে আনা হয়েছে অতনু রাহাকে।
চিঠিতে সুলতানের প্রশ্ন, তিনি হেড অফ দ্য ফরেস্ট ফোর্স হলে প্রশাসনিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব তাঁর কাছ থেকে নিয়ে অস্থায়ী পদে দেওয়া হল কেন? একই সঙ্গে তাঁর জিজ্ঞাসা, এর আগে যে প্রধান মুখ্য বনপাল (গবেষণা) পদে তিনি ছিলেন, সেই পদ আদালতের নির্দেশে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গিয়েছে। সেই পদের অধীনে রয়েছেন ২ জন চিফ কনজারভেটর, ৪ জন কনজারভেটর অফ ফরেস্ট, ১৩ জন ডিএফও সহ বহু কর্মী। সেক্ষেত্রে নতুন করে পিসিসিএফ (সাধারণ) পদ সৃষ্টি না করে ওই পদে কি অতনু রাহাকে আনা যেত না? এর পাশাপাশি ওই চিঠিতে জানতে চাওয়া হয়েছে প্রধান মুখ্য বনপাল (সাধারণ) অতনু রাহা প্রধান মুখ্য বনপালের অধস্তন কিনা। ২ মার্চ পাঠানো চিঠির প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে অতনু রাহাকেও।