'রাত জেগে রই, এই বুঝি বান এল'
কোটালের সময় প্রতিবারই বানভাসি হয় দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকা। প্রত্যন্ত এই জায়গায় নেই পাকাপোক্ত বাঁধ। নদী থেকে মাছ ধরাই এখানকার মানুষের প্রধান জীবিকা। কিন্তু যে জল থেকে মেলে জীবনের রসদ, সেই জলই এখন তাঁদের কাছে ঘোর আতঙ্কের।
সুন্দরবন: কোটালের সময় প্রতিবারই বানভাসি হয় দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকা। প্রত্যন্ত এই জায়গায় নেই পাকাপোক্ত বাঁধ। নদী থেকে মাছ ধরাই এখানকার মানুষের প্রধান জীবিকা। কিন্তু যে জল থেকে মেলে জীবনের রসদ, সেই জলই এখন তাঁদের কাছে ঘোর আতঙ্কের।
মির্জাপুর, নূরপুর, মৌসুমি দ্বীপ---কলকাতা থেকে মাত্র ঘণ্টা তিনেকের পথ পেরোলেই পৌছনো যায় সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এই গ্রামগুলিতে। ঝাঁ চকচকে মহানগরী থেকে সামান্য দূরত্বের এই এলাকায় জীবনযাপনের দিনলিপিটাই আলাদা। প্রতি কোটালেই বানভাসি হয় রূপনারায়ণ, হলদি, হুগলি নদীর জাল বিছানো এই অঞ্চল। নোনা জলে ভেসে যায় ঘরবাড়ি, চাষের জমি, গৃহপালিত পশু।
বঙ্গোপসাগরের খুব কাছের এই গ্রামগুলিতে নেই পাকা বাঁধ। মেলে না সরকারি সহায়তা। বেঁচে থাকার তাগিদে বস্তা দিয়ে কোনওরকমে জল আটকানোর চেষ্টা করেন এলাকার বাসিন্দারা। কিন্তু জোয়ারের সময় জলোচ্ছ্বাসে খড়কুটোর মতই ভেসে যায় সেই ঠুনকো বাঁধ। তাই প্রতিবার কোটালের আগে আতঙ্ক গ্রাস করে সুন্দরবন লাগোয়া এই গ্রামগুলিকে।
আবারও একটা কোটাল আসছে। আবারও ভাসতে চলেছে সুন্দরবন লাগোয়া দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বিস্তীর্ণ এলাকা। চরম আতঙ্কে রাতে সন্তানকে বুকে আঁকড়ে ঘুমোতে যাচ্ছেন মায়েরা। অথচ যাদের এনিয়ে বেশি ভাবার কথা, প্রশাসনের সেই কর্তাদের কোনও হেলদোল নেই।