বিভীষিকার অন্য নাম দুলাল স্মৃতি সংসদ
গুড়িয়ার মৃত্যু কীভাবে হয়েছে এখনও জানা যায়নি। কিন্তু গুড়াপের হোমে আবাসিকদের ওপর নিয়মিত যৌন নির্যাতন ও অত্যাচারের আরও কাহিনী ধীরে ধীরে প্রকাশ্যে আসছে।
গুড়িয়ার মৃত্যু কীভাবে হয়েছে এখনও জানা যায়নি। কিন্তু গুড়াপের হোমে আবাসিকদের ওপর নিয়মিত যৌন নির্যাতন ও অত্যাচারের আরও কাহিনী ধীরে ধীরে প্রকাশ্যে আসছে। একসময় এই হোমের এক আবাসিক কথায় জানা গেছে সেই চাঞ্চল্যকর ঘটনা। বছরখানেক আগের ঘটনা। দুলাল স্মৃতি সংসদের পাঁচিল টপকে পালিয়েছিলেন তিনি। মারধর, যৌন নিগ্রহের হাত থেকে বাঁচতে তাঁর এই পালিয়ে যাওয়া। কিন্তু স্মৃতিতে আজও টাটকা সেই ঘটনা। যেখান থেকে পালিয়ে যেতে আজও পারেননি। নিজের সম্মান বাঁচাতে ও অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচতে, শেষ পর্যন্ত পালিয়ে যেতে হয়েছিল সেই মহিলাকে। মহিলার অভিযোগ বেছে বেছে ওই হোমের আবাসিকরা শিকার হতো অত্যাচারের। হোমের সম্পাদক অত্যাচার চালাত, আর সন্ধ্যা হলে অত্যাচার চালাত শ্যামল। যাঁরা অত্যাচারিত হতেন তাঁরা ভয়ে প্রতিবাদ করতনা। যার জেরে চুপ থাকত বাকিরাও।
শারীরিক ভাবে অত্যাচারিত ও ধর্ষিতা হওয়ার পর নিরুপায় হয়ে অনেকে বেছে নিত আত্মহত্যার পথ। গুড়িয়ার মৃত্যুর কারণ এখনও জানা যায়নি। তাঁর আগে যে আবাসিকরা মারা গিয়েছেন তাঁদের মৃত্যুর কারণও অস্পষ্ট। কিন্তু মারাত্মক এক ইঙ্গিত রয়েছে ওই হোমের এক সময়কার আবাসিকের কথায়। তাঁর অভিযোগ, গুড়িয়ার মতোই অনেক আবাসিকের দেহ পাচার করে দিয়েছে হোম কর্তৃপক্ষ। এই মহিলা পাঁচিল টপকে পালানোর পর তাঁকে উদ্ধার করে বিয়ে করেন হোমেরই ইলেট্রিশিয়ান। দুজনে ঘর বাঁধেন কলকাতায়। চব্বিশ ঘণ্টার খবরে গুড়িয়া কাণ্ড প্রকাশ্যে আসার পর সেই ইলেক্ট্রিশিয়ানকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। আপাতত জেল হেফাজতে রয়েছেন তিনি। আর চরম অনটনে দিন কাটছে এই মহিলার।