নাসার প্রথম পুরস্কার পেল ব্যারাকপুরের নভোনীল নিয়োগী

অলিম্পাস স্পেস সেটেলমেন্ট প্রজেক্ট জমা দিয়ে নাসার প্রথম পুরস্কার পেল ব্যারাকপুরের নভোনীল নিয়োগী। ২০১২ সালে নাসার প্রতিযোগিতায় তৃতীয় হয়েছিল নভোনীল। তার পরিকল্পনায় উচ্ছ্বসিত নাসা। আর তারই ফলস্বরূপ কয়েক হাজার প্রতিযোগীকে টেক্কা দিয়ে প্রথম পুরস্কার জিতে নিয়েছে ১২ বছরের কিশোর।

Updated By: Aug 31, 2013, 10:25 AM IST

অলিম্পাস স্পেস সেটেলমেন্ট প্রজেক্ট জমা দিয়ে নাসার প্রথম পুরস্কার পেল ব্যারাকপুরের নভোনীল নিয়োগী। ২০১২ সালে নাসার প্রতিযোগিতায় তৃতীয় হয়েছিল নভোনীল। তার পরিকল্পনায় উচ্ছ্বসিত নাসা। আর তারই ফলস্বরূপ কয়েক হাজার প্রতিযোগীকে টেক্কা দিয়ে প্রথম পুরস্কার জিতে নিয়েছে ১২ বছরের কিশোর।
বাবা আইটিতে কর্মরত। কর্মসূত্রে লণ্ডনের কিংস্টনের বাসিন্দা। ২০০৫ সালে মা সায়ন্তনীর সঙ্গে ব্যারাকপুরের নভোনীলও পাকাপাকিভাবে চলে গিয়েছিল
লন্ডনে। ছোট থেকেই সৃষ্টিশীল কাজে উত্সাহী। এই মানসিকতাই হয়তো নাসার প্রতিযোগিতায় এগিয়ে দিয়েছিল নভোনীলকে। পৃথিবীর মাত্রাতিরিক্ত দূষণে চিন্তিত নভোনীল নিজের তৈরি করা প্রজেক্টে দেখিয়েছে কেমন হবে মহাকাশের প্রাণী জগত্‍।
মহাকাশকে মানুষের বাসযোগ্য করতে কী ভাবে ব্যবহার করা যায় উদ্ভিদ জগত্কে। অতি সূক্ষ্ম রশ্মির সাহায্যে জলের যোগান কী ভাবে ধরে রাখা যায়, তার পরিকল্পনা স্থান পেয়েছে নভোনীলের প্রজেক্টে। এমনকী, কী ভাবে মহাকাশে একটি ইকনমিক জোন তৈরি করা যায় সেই পরিকল্পনাও নভোনীল তুলে ধরেছে তার প্রজেক্টের মাধ্যমে। বারো বছরের এক কিশোরের এই অভাবনীয় পরিকল্পনায় রীতিমতো হতবাক নাসা। আশাতীত এই সাফল্যে খুশি নভোনীলের পরিবার। আপাতত সাফল্যের আনন্দ পরিবারের বাকি সদস্যদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে বাবা-মার সঙ্গে ব্যারাকপুরে এসেছে নভোনীল। জানিয়েছে নিজের স্বপ্নের কথা।
  
বড় হয়ে অ্যাস্ট্রোফিজিক্স নিয়ে উচ্চাশিক্ষায় যেতে চায় নভোনীল। তবে শুধু তথ্য ও সংযোগ প্রযুক্তিতেই আবদ্ধ নয় নভোনীল। সাহিত্যেও সমান সাবলীল সে। নভোনীলের লেখা `THE INVISIBLE CAMERA` শীর্ষক উপন্যাসটি ইতিমধ্যেই শিশু কিশোরদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বাহবা মিলেছে খোদ লণ্ডনের বিখ্যাত শিশু কিশোর অ্যাডভেঞ্চার লেখক অ্যান্টনি হরোউইজের কাছ থেকে। তেসরা নভেম্বর লন্ডন ফিরে যাচ্ছে এই বিস্ময়বালক। চোখে তার এখন একটাই স্বপ্ন...... মহাকাশে নতুন দূষণমুক্ত স্বপ্নের জগত্ রচনা।

.