ইচ্ছে থাকলে আকাশ ছোঁয়া যায়, অন্ধ টুমটুম এখন অধ্যাপক
জন্ম থেকেই দৃষ্টিহীন। শারীরিক গঠনও এমন, যে সামান্য পথ চলতেও সমস্যা হয় বালির টুমটুম মুখার্জির। তবে সব প্রতিবন্ধকতার দেওয়াল সরিয়ে তিনি একজন সফল মহিলা। বাঁকুড়া সারদামণি মহিলা কলেজের বাংলার সফল অধ্যাপক টুমটুম মুখার্জি। আজ নারী দিবসে তাঁরই লড়াইয়ের কাহিনী।
ওয়েব ডেস্ক:জন্ম থেকেই দৃষ্টিহীন। শারীরিক গঠনও এমন, যে সামান্য পথ চলতেও সমস্যা হয় বালির টুমটুম মুখার্জির। তবে সব প্রতিবন্ধকতার দেওয়াল সরিয়ে তিনি একজন সফল মহিলা। বাঁকুড়া সারদামণি মহিলা কলেজের বাংলার সফল অধ্যাপক টুমটুম মুখার্জি। আজ নারী দিবসে তাঁরই লড়াইয়ের কাহিনী।
জন্ম থেকেই দৃষ্টিহীন। বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আরও শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে বালির বাসিন্দা টুমটুম মুখার্জির। তবুও তিনি থেমে থাকেননি। বিএ, এমএ, এম ফিল করে শিক্ষকতা শুরু করেন টুমটুম।২০১০ সালে অধ্যাপনা শুরু বাঁকুড়ার সারদামণি মহিলা কলেজে।
টুমটুম মুখার্জির ভরসা ছাত্রীরাই। তাঁরা পড়েন, আর তিনি ব্যাখ্যা করেন। ক্লাসে আসেন ছাত্রীদের হাত ধরেই। আবার ক্লাস শেষ হলে, ছাত্রীরাই তাঁকে দিয়ে আসেন স্টাফরুমে। এই অধ্যাপককে নিয়ে গর্বিত ছাত্রী থেকে কলেজ কর্তৃপক্ষ সকলেই।
শুধু অধ্যাপনায় নয়, টুমটুম মুখার্জি বাড়ি ঘরের কাজ একা হাতে সামলান। রান্না থেকে শুরু করে গৃহস্থালির সমস্ত কাজ। মাস চারেক আগে বিয়েও করেছেন তিনি। এখন তাঁর ভরাট সংসার।
অনুপ্রেরণা রবীন্দ্রনাথ। টুমটুম চান আরও এগিয়ে যেতে। আরও অনেক দূর।