বর্ধমান কাণ্ডে গ্রেফতার আরও ২

বর্ধমানে দুই সিপিআইএম নেতার হত্যাকাণ্ডে গ্রেফতার করা হল আরও ২ জনকে। ধৃত ২ ব্যক্তির নাম মন্টু ঘোষ এবং নবকুমার রায়। রবিবার সিআইডি ডিআইজি অপারেশনস কে জয়রামন এলাকায় তল্লাসি অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে এই দুজনকে। ধৃত দুজনই বর্ধমানের মির্জাপুর গ্রামের বাসিন্দা।

Updated By: Mar 12, 2012, 10:40 AM IST

বর্ধমানে দুই সিপিআইএম নেতার হত্যাকাণ্ডে গ্রেফতার করা হল আরও ২ জনকে। ধৃত ২ ব্যক্তির নাম মন্টু ঘোষ এবং নবকুমার রায়। রবিবার সিআইডি ডিআইজি অপারেশনস কে জয়রামন এলাকায় তল্লাসি অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে এই দুজনকে। ধৃত দুজনই বর্ধমানের মির্জাপুর গ্রামের বাসিন্দা। মন্টু ঘোষ কারখানা শ্রমিক এবং নবকুমার রায় হোটেল ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত বলে জানা গেছে। ধৃত ২ জনই এলাকায় সক্রিয় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী হিসেবে পরিচিত। মন্টু ঘোষ এবং নবকুমার রায়কে আজই বর্ধমান আদালতে পেশ করা হতে পারে বলে সিআইডি সূত্রে খবর। এর আগে এই ঘটনায় আরও ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। মন্টু ঘোষ ও নবকুমার রায়কে নিয়ে, এই ঘটনায় মোট ৬ জনকে গ্রেফতার করা হল। বর্ধমান কাণ্ডে মোট ২২ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি বর্ধমানের দেওয়ানদিঘিতে বামপন্থী শ্রমিক সংগঠনগুলির ডাকা ২৮ ফেব্রুয়ারির সাধারণ ধর্মঘটের সমর্থনে আয়োজিত একটি মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন প্রাক্তন সিপিআইএম বিধায়ক প্রদীপ তা এবং সিপিআইএম নেতা কমল গায়েন। আচমকাই সেই মিছিলে হামলা চালায় সশস্ত্র তৃণমূল বাহিনী। মুখ থেঁতলে, কুপিয়ে খুন করা হয় প্রদীপ তা-কে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় বর্ধমান হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর মৃত্যু হয় কমল গায়েনরও। ঘটনার দিনই ৪ জনকে গ্রেফতার করলেও তাদের নিজের হেফাজতে না রেখে জেল হেফাজতে পাঠায় পুলিস। ৩ মার্চ পর্যন্ত নিহতদের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আদালতে পেশ না হওয়ায় রাজ্য সরকারকে কড়া ভাষায় তিরষ্কার করে কলকাতা হইকোর্ট। তদন্তভার দেওয়া সিআইডিকে। পুলিসকে নির্দেশ দেওয়া হয় এক ঘণ্টার মধ্যে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য। এরপরই ঘটনার তদন্তকারী সাব ইন্সপেক্টর দুর্গাদাস ভট্টাচার্যকে সাসপেন্ড করে বর্ধমান জেলা পুলিস। অভিযোগ, হাইকোর্টে মমলার শুনানির আগেই ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেয়েছিলেন দুর্গাদাস ভট্টাচার্য। কিন্তু তা কেস ডায়েরির সঙ্গে যুক্ত করেননি তিনি।

.