তিন পুরভোটে তৃণমূলের জয়জয়কার। বালিতে ১৬-এ ১৬। আসানসোলে তৃণমূলের প্রত্যাবর্তন, বিধাননগরে 'সর্বাত্মক' শাসক দল-LIVE RESULT

আজ আসানসোল পুরসভার একশো ছটি আসনে ভোট গণনা। পুর আইন বদল করে কুলটি, রানিগঞ্জ ও জামুড়িয়া পুরসভা সংযুক্ত করে তৈরি হয়েছে আসানসোল কর্পোরেশন। গুরুত্বপূর্ণ এই শিল্পাঞ্চল দখলে রাখতে ভোটে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল সবপক্ষই

Updated By: Oct 10, 2015, 03:29 PM IST

বিধাননগরে পরাজিত বামফ্রন্টের মেয়র পদপ্রার্থী অসীম চট্টোপাধ্যায়। হারলেন রমলা চক্রবর্তীও। জয়ী তৃণমূলের তারকা প্রার্থী অনিন্দ্য চটোপাধ্যায়।

আসানসোলে ১০৬টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৭৪টিতে জয়ী তৃণমূল, ১৭টিতে জয়ী বামফ্রন্ট, ৮টিতে জয়ী বিজেপি, ৩টিতে জয়ী কংগ্রেস, ৪টিতে জয়ী নির্দল।

বিধাননগরে ৪১টি ওয়ার্ডের মধ্যে জয়ী- ৩৭টিতে জয়ী তৃণমূল। ৪টিতে জয়ী বামফ্রন্ট। কংগ্রেস জয়ী ২টিতে।

বালিতে ১৬টি ওয়ার্ডের ১৬টিতেই জয়ী তৃণমূল।

বিধাননগরে ৪১টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২৩টি ওয়ার্ডের ফলাফল ঘোষিত। ১৯টিতে জয়ী তৃণমূল। ২টিতে জয়ী বামফ্রন্ট। ১টিতে এগিয়ে কংগ্রেস। ১টি এগিয়ে নির্দল প্রার্থী।

বিধাননগরে তৃণমূলের তারকা প্রার্থী অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় পিছিয়ে। ৪১ নম্বর ওযার্ডে পিছিয়ে অনিন্দ্য

বালি পুরসভার সব কটি ওয়ার্ডে জিতল তৃণমূল। বিরোধী শূন্য বালি। ১৬টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৬টি-তে জয়ী তৃণমূল।

বিধাননগর কর্পোরেশনে বোর্ড গঠনের পথে তৃণমূল। ৪১টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২০টি ওয়ার্ডের ফলাফল ঘোষিত। ১৭টিতেই জয়ী তৃণমূল। ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী বামফ্রন্ট।

--------------------------------

বালিতে প্রশ্নাতিত প্রধান্য শাসক দলের। ১০টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১০টিতেই জয়ী তৃণমূল।

আসানসোলে যে ৬টি ওয়ার্ডে জয়ী তৃণমূল--১,২,৩,৫, ১১,১২

আসানসোলে ৯ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী বামফ্রন্ট প্রার্থী।

বিধাননগরে ৪১ নম্বর ওয়ার্ডে এগিয়ে নির্দল প্রার্থী অনুপম দত্ত।

বিধাননগরে ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী বামফ্রন্ট প্রার্থী।

বালিতে ৭টি ওয়ার্ডের ফল ঘোষিত। ৭টিতেই জয়ী তৃণমূল।

আসানসোলে যে তিনটি ওয়ার্ডে জয়ী তৃণমূল- ২,৩,১২

বিধাননগরে যে ৭টি ওয়ার্ডে জয়ী তৃণমূল- ২১,২২,২৩,২৫,২৭,২৮,২৯ নম্বর ওয়ার্ড।

বিধাননগরে ৭টি ওয়ার্ডের ফলাফল ঘোষিত। তৃণমূল জয়ী ৭টিতেই।

আসানসোলে ২টি ওয়ার্ডের ফলাফল ঘোষিত দুটিতেই জয়ী তৃণমূল। ৩ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী কার্তিক ধীবর জয়ী।

 

------------------------------

## আসানসোলে খাতা খুলল তৃণমূল। ৩ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী কার্তিক ধীবর জয়ী। ******************

আজ আসানসোল পুরসভার একশো ছটি আসনে ভোট গণনা। পুর আই ন বদল করে কুলটি, রানিগঞ্জ ও জামুড়িয়া পুরসভা সংযুক্ত করে তৈরি হয়েছে আসানসোল কর্পোরেশন। গুরুত্বপূর্ণ এই শিল্পাঞ্চল দখলে রাখতে ভোটে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল সবপক্ষই। ভোটের দিন সন্ত্রাস চালানোর  অভিযোগ ওঠে শাসকদলের বিরুদ্ধে। ২০০৯-এ শেষবার ভোট হয় আসানসোল পুর নিগমে। ছিল ৫০টি ওয়ার্ড। প্রথমে বামেরা বোর্ড গড়লেও পরে দলবদলে ক্ষমতা দখল করে তৃণমূল। ২০০৯-এ কুলটি পুরসভার পঁয়ত্রিশটি ওয়ার্ডে ভোট হয়। বোর্ড গড়েছিল  বামেরা। ২০১০-এ রানিগঞ্জ পুরসভায় ভোট হয়  ২১টি ওয়ার্ড। ভোটে জিতে বোর্ড গড়েছিল বামেরা। ২০০৯-এ শেষবার ভোট হয় জামুড়িয়া পুরসভায় ভোট হয়  ২৩টি ওয়ার্ড। সেই বোর্ডও গড়েছিল বামেরা।  এবার অবশ্য শাসকদলের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি। ফলে আসানসোল পুরসভায় বিজেপিসহ বিরোধীরা কোনও প্রতিরোধ গড়ে তুলে পারে কিনা, সেদিকে নজর থাকবে সকলের।

হাওড়া কর্পোরেশনে জুড়েছ বালি পুরসভা। আজ সংযুক্ত ১৬ ওয়ার্ডের ভোট গণনা। ২০১০-এ শেষবার ভোট হয় বালি পুরসভায়। ছিল ৩৫টি ওয়ার্ড। ভোটে জিতে বোর্ড গড়েছিল বামেরা। ২০১৪-র লোকসভা ভোটের নিরিখে বালির ৩৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২৩টিতেই এগিয়ে ছিল তৃণমূল। বিজেপি ১০ এবং বামেরা ২টি আসনে এগিয়ে ছিল।  এবারের পুরভোটে তাদের ফল আরও ভাল হবে, আশাবাদী তৃণমূল নেতৃত্ব।

ভোটারদের হুমকি, বহিরগতদের সন্ত্রা,সাংবাদিকদের ওপর হামলা নিয়ে  তুমুল চাপান উতোর, পুনর্নির্বাচন ঘিরে বিতর্ক, অস্থায়ী নির্বাচন কমিশনারের নিয়োগ ঘিরে মামলা, এসবে বিতর্কের মধ্যেই আজ ভোটগণনা বিধাননগর পুরসভায়। একচল্লিশে একচল্লিশ করার চ্যালেঞ্জে রয়েছে  তৃণমূলের। অন্যদিকে বাম শিবিরের নেতৃত্বে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অসীম দাশগুপ্ত। এবার রাজারহাট গোপালপুর পুরসভা যুক্ত হয়েছে বিধাননগরের মধ্যে। ২০০৯-এ শেষবার ভোট হয় রাজারহাট-গোপালপুর পুরসভার ৩৫টি ওয়ার্ডে। ভোটে জিতে বোর্ড গড়ে বামেরা।  ২০১০-এ বিধাননগর পুরসভায় ভোট নেওয়া হয় ২৫টি ওয়ার্ডে। ভোটে জিতে বোর্ড গড়েছিল তৃণমূল। ২০১৪-র লোকসভা ভোটের নিরিখে বিধাননগরের ২৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৮টিতেই এগিয়ে ছিল বিজেপি। তৃণমূল ৪ এবং বামেরা ৩টি আসনে এগিয়ে ছিল।  কলকাতার পড়শি বিধাননগর দখলে রাখতে পারলে বিধানসভা ভোটের আগে চাঙ্গা রাখা যাবে দলীয় সংগঠনকে।  তাই বাম-ডান সকলেরই পাখির চোখ বিধাননগর। ভোটের দিনের সন্ত্রাস এবং বিরোধীদের পুনর্নির্বাচন বয়কটের জের অবশ্য গণনা নিয়ে উত্তজেনা কিছুটা কম।

.