১০ই নভেম্বরের মধ্যেই সিঙ্গুরের জমি ফিরিয়ে দিতে তৈরি রাজ্য সরকার
১০ই নভেম্বরের মধ্যেই সিঙ্গুরের জমি ফিরিয়ে দিতে তৈরি রাজ্য সরকার। চাষযোগ্য করেই ফেরানো হবে জমি। যেখানে কারখানার শেড ছিল, সেই জমির উর্বরতা ফেরাতে বাইরে থেকে মাটি এনে ফেলা হবে।
ওয়েব ডেস্ক: ১০ই নভেম্বরের মধ্যেই সিঙ্গুরের জমি ফিরিয়ে দিতে তৈরি রাজ্য সরকার। চাষযোগ্য করেই ফেরানো হবে জমি। যেখানে কারখানার শেড ছিল, সেই জমির উর্বরতা ফেরাতে বাইরে থেকে মাটি এনে ফেলা হবে।
সিংহভাগ জমি ফেরানো হয়ে গেছে। বাকিটাও ফেরানো হয়ে যাবে দশই নভেম্বরের মধ্যে। কিন্তু, সবটা জমিতে চাষ করা যাবে তো? এটাই এখন রাজ্যের একমাত্র মাথাব্যথা। রাজ্য সরকার সূত্রের খবর, সিঙ্গুরের যেখানে কংক্রিট, জলাশয় ও রাস্তা তৈরি হয় সেই জমি তার উর্বরতা হারিয়েছে
এখন কংক্রিট বা সড়ক উপড়ে ফেলে বা জলাশয় বুজিয়ে ফেলেও ওই জমিতে উর্বরতা ফেরানো সম্ভব নয়। সিঙ্গুরে জমি চিহ্নিতকরণের সময়েই কৃষি বিশেষজ্ঞদের এনে মাটি পরীক্ষা করায় রাজ্য। কৃষি বিশেষজ্ঞরা জানান, কংক্রিটের নির্মাণের ফলে জমির উপরিভাগের মাটি পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে। উর্বরতা ফেরাতে এখন মাটি আমদানির কথা ভাবছে রাজ্য।
হুগলির জেলাশাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পাশের দুই জেলার জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বলতে। কোন জমি থেকে কীভাবে মাটি আনা হবে অবিলম্বে তার পরিকল্পনা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে হুগলির জেলাশাসককে। উর্বর জমির মাটি ছাড়াও উপকূলবর্তী এলাকার মাটিও সিঙ্গুরে ফেলার কথা ভেবে রেখেছে রাজ্য সরকার।
সিঙ্গুরের জমি চাষযোগ্য করে ফেরত দেওয়াই ছিল রাজ্যের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। দশ বছরের বিরতির পর চাষিদের আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনাও কম কঠিন ছিল না। সময়ের আগেই সিংহভাগ জমি ফিরিয়ে দিতে পেরে রাজ্য আত্মবিশ্বাসী। বাকি কাজটাও নির্বিঘ্নেই করা যাবে বলে আশা করছে প্রশাসন।