Amitabh Bachchan: সেটে দুর্ঘটনা! শিরা কেটে রক্তাক্ত অমিতাভ বচ্চন
Amitabh Bachchan:বিগ বির ৮০ তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে কৌন বনেগা ক্রোড়পতিতে একটি বিশেষ পর্বের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই বিশেষ পর্বে হাজির ছিলেন জয়া বচ্চন ও অভিষেক বচ্চন। অমিতাভের ব্যক্তিগত নানা অজানা কথা উঠে আসে এই পর্বে।
Amitabh Bachchan, জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আহত অমিতাভ বচ্চন। সম্প্রতি কেবিসি-র মঞ্চে এক দুর্ঘটনার সম্মুখীন হন মেগাস্টার। প্রতিদিনের মতোই শ্যুটে ব্যস্ত ছিলেন অভিনেতা, তারই মাঝে সেটে একটি মেটালে পায়ের কাফ মাসেলে শিরা কেটে যায় অমিতাভের। তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। পায়ে বেশ কয়েকটা সেলাই পড়ার পর রক্ত বন্ধ হয় অমিতাভের। নিজের ব্লগে দুর্ঘটনার কথা শেয়ার করেন অমিতাভ।
পড়ুন, বাঙালির প্রাণের উৎসবে আমার 'e' উৎসব। Zee ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল শারদসংখ্যা
ব্লগে তিনি লেখেন, ‘একটি ছোট মেটালের পিসে আমার বাঁ পায়ের কাফ মাসেলের শিরা কেটে যায় আর তার জেরেই ভয়ানক রক্তক্ষরণ শুরু হয়, যা কোনওভাবেই থামানো যাচ্ছিল না। তাড়াতাড়ি চিকিৎসকের কাছে যাই এবং সঠিক সময়ে চিকিৎসক ও স্টাফেদের টিমের সহায়তায় ওটিতে নিয়ে যাওয়া হয় ও পায়ে সেলাই হয়।’ এর জেরেই অনেকদিন হাঁটতেও অসুবিধা হচ্ছিল অভিনেতার। হাঁটা চলা এমনকী পা সরানোও বারণ ছিল তাঁর। ট্রেডমিলে হাঁটলে পায়ে টান পড়তে পারে সে কারণেই তাঁর এক্সারসাইজ করা বারণ। অমিতাভের কথায় উঠে আসে মনখারাপের কথা। পায়ের এই হালে রীতিমতো মনখারাপ তাঁরা। এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে মুখিয়ে রয়েছেন অমিতাভ বচ্চন।
পুজোর আগে অয়ন মুখোপাধ্যায়ের ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ ছবিতে দেখা গেছে তাঁকে। তবে তাঁর শেষ মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘গুডবাই’। অমিতাভের সঙ্গে এই ছবিতে দেখা গেল রশ্মিকা মান্দানার। তবে মেগাস্টারের হাতে এখন অনেক সিনেমা। সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে ‘উঁচাই’ ছবির ট্রেলার। এক বন্ধুর মৃত্যুর পর তাঁর শেষ ইচ্ছা পূরণ করতে এভারেস্ট ট্রেকিংয়ে যায় তিন বন্ধু। সেই নিয়েই ছবির গল্প।
আরও পড়ুন- Jacqueline Fernandez: ‘জ্যাকলিন কখনও কিছু চায়নি, কিন্তু...’ চিঠি লিখলেন সুকেশ
প্রসঙ্গত, বিগ বির ৮০ তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে কৌন বনেগা ক্রোড়পতিতে একটি বিশেষ পর্বের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই বিশেষ পর্বে হাজির ছিলেন জয়া বচ্চন ও অভিষেক বচ্চন। অমিতাভের ব্যক্তিগত নানা অজানা কথা উঠে আসে এই পর্বে। অমিতাভের জন্য বাংলা থেকে উপহার নিয়ে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী। জয়া অমিতাভকে বলেন যে, তাঁর জন্য বাংলা থেকে বিশেষ উপহার এনেছেন তিনি। তখনই স্ক্রিনে ভেসে ওঠেন বাউল শিল্পী গৌতম দাস, অনন্যা চক্রবর্তী ও খুদে শিল্পী প্রাঞ্জন বিশ্বাস। প্রথমে তাঁরা গান যদি তোর ডাক শুনে, তারপর গান ‘যদি তারে নাই চিনি গো সে কী’। গানটি শোনা মাত্র অমিতাভ বলেন যে, এই গান থেকেই তো অভিমানের গান ‘তেরে মেরে মিলন কী এ রয়না’ এবং তারপরেই ঐ সংগীতশিল্পীদের গলায় শোনা যায় সেই বিখ্যাত গানও। গান শুনে মুগ্ধ অমিতাভের চোখে তখন জল শিল্পীদের কন্ঠের জাদুতে মুগ্ধ অমিতাভ।