Video: মহালয়ায় ইংরাজিতে 'মহিষাসুরমর্দিনী', পাঠে Supriyo Sengupta
শ্লোকগুলি ইংরেজিতে অনুবাদ করেছেন শিক্ষক নির্মল চন্দ্র সাহা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: মহালয়ার (Mahalaya) আচারের সঙ্গে 'মহিষাসুরমর্দিনী' (Mahishasuramardini) অনুষ্ঠানের কোনও যোগাযোগ না থাকলেও আকাশবানীর এই অনুষ্ঠান যেন বাঙালি যাপনে এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সারাবছর বাঙালি আর যাই করুক, যতই ঘুমের ঘোরে থাকুক, মহালয়ার ভোরে রেডিও চালিয়ে 'মহিষাসুরমর্দিনী' শোনাটা কিন্তু মাস্ট! কিন্তু সেই অনুষ্ঠান যদি সংস্কৃত ও বাংলার বদলে ইংরাজিতে হয়? এবার সেরকমই একটি কাণ্ড করেছেন পেশায় ইঞ্জিনিয়র সুপ্রিয় সেনগুপ্ত(Supriyo Sengupta)। এবার সেই মহিষাসুরমর্দিনী অনুষ্ঠানটিই ইংরাজিতে উপস্থাপিত করেছেন তিনি।
ছোটবেলায় কাকার কাছ থেকে শিখেছিলেন চণ্ডীপাঠ। ছোট থেকেই পাড়ার পুজো মণ্ডপে চণ্ডীপাঠ করতেন তিনি। ২০০৯ সালে তাঁর মা স্নিগ্ধা সেনগুপ্ত ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। তখন তিনি চণ্ডীপাঠের মধ্য়ে দিয়েই মা-কে সুস্থ করার ইচ্ছাশক্তি খুঁজে পান তিনি। তাঁর মায়ের ইচ্ছা ছিল সেই চিরাচরিত মহিষাসুরমর্দিনীর কোনও পরিবর্তন না করেই সেই অনুষ্ঠানকে যেন অন্যভাবে উপস্থাপনা করে তাঁর ছেলে। সেই ২০০৯ থেকেই মহিষাসুরমর্দিনীকে ইংরাজিতে অনুবাদ করার ভাবনা শুরু। ২০১০ সালে মায়ের মৃত্যুর পর কাজটি কিছু সময়ের জন্য থমকে যায়। কিন্তু দমে না গিয়ে ২০১৩ সালে ফের কর্মযজ্ঞ শুরু হয় এবং ২০১৭ সালে চার বছরের নিরলস প্রচেষ্টার পর পুরো কাজটি সম্পন্ন করেন তিনি। গোটা মহিষাসুরমর্দিনীতে সুর তাল লয়ে কোনও বদল নেই। শুধুমাত্র বদল হয়েছে ভাষার। মূল শ্লোকগুলি ইংরেজিতে অনুবাদ করেছেন প্রাক্তন শিক্ষক নির্মল চন্দ্র সাহা।
আরও পড়ুন: মহালয়ায় সুখবর, বড়পর্দায় টলিপাড়ার দুই 'কাছের মানুষ' Dev-Prosenjit
জি ২৪ ঘণ্টাকে সুপ্রিয় সেনগুপ্ত জানান, 'এই বৃহৎ কর্মযজ্ঞের বিরাট অংশ জুড়ে আছে আমার শিল্পী বন্ধুরা। পরিবারের সদস্যরাও এই কাজে জল ও অক্সিজেন এর মত সহায়তা করেছে। আমার এই উদ্যোগের একটা বিরাট অংশ জুড়ে আছে আমার বন্ধু সংযুক্তা চক্রবর্তী ও সুবীর চন্দ। অঞ্জন,প্রবাল চক্রবর্তী, সুপর্ণা চক্রবর্তী না থাকলে এই ভিডিয়ো তৈরি হতো না। প্রসেনজিৎ আমাকে সবসময় নানা ধরনের বুদ্ধি জুগিয়েছে। সোমনাথ, অরিন্দম, অসীম,তৃণাঞ্জয়, আমার স্ত্রী জয়শ্রী সেনগুপ্ত এবং দুই কন্যা ইপ্সিতা-জ্যোতিস্মিতা হচ্ছে আমার সর্বক্ষনের সঙ্গী।' মহিষাসুরমর্দিনীর ভাষা বদল করার মতো সাহস দেখিয়েছেন এই বাঙালি, তর্ক-বিতর্ক তো হবেই। তবে সুপ্রিয় সেনগুপ্তর উদ্দেশ্য, বিশ্বব্যাপী সবার কাছে মহালয়ার মাহাত্ম্য পৌঁছে দেওয়া।