Priyanka Chopra: আমেরিকা থেকে ফেরার পর ঠিক কী হয়েছিল প্রিয়াঙ্কার? নেপথ্য কাহিনি জানালেন দেশি গার্ল
লাইমলাইটের উজ্জ্বলতায় থাকা তারকাদের কতটুকু চিনতে পারি আমরা? কতটুকু জানতে পারি তাঁদের গল্পগুলো? কখনও সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে তো কখনও কোনও ঘটনার মধ্যে দিয়ে আড়ালে থাকা গল্পগুলো প্রকাশ্যে এসে যায়। সম্প্রতি বলিউড ডিভা প্রিয়াঙ্কা চোপড়া তাঁর জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা বেশ কিছু গল্প তেমনভাবেই সবার সামনে চলে এলো। বলা ভাল, অভনেত্রী নিজেই সামনে আনলেন।
জি ২৪ ঘন্টা ডিজিটাল ব্যুরো: লাইমলাইটের উজ্জ্বলতায় থাকা তারকাদের কতটুকু চিনতে পারি আমরা? কতটুকু জানতে পারি তাঁদের গল্পগুলো? কখনও সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে তো কখনও কোনও ঘটনার মধ্যে দিয়ে আড়ালে থাকা গল্পগুলো প্রকাশ্যে এসে যায়। সম্প্রতি বলিউড ডিভা প্রিয়াঙ্কা চোপড়া তাঁর জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা বেশ কিছু গল্প তেমনভাবেই সবার সামনে চলে এলো। বলা ভাল, অভনেত্রী নিজেই সামনে আনলেন।
জীবনের বেশ কিছু সময় দেশের বাইরে কাটিয়েছেন পিগি চপস। আমেরিকা থেকে তিনি দেশে ফেরেন ১৬ বছর বয়সে। ঠিক সেই সময়ের বেশ কিছু ঘটনা এবার জনসমক্ষে আনলেন তিনি। ঠিক কী বলেছেন অভিনেত্রী? সাক্ষাৎকারে প্রিয়াঙ্কা বলেন, যখন ১৬ বছর বয়সে আমেরিকা থেকে ফেরেন তখন তাঁর বাবা অশোক চোপড়া তাঁর ঘরের জানলায় গ্রিল বসিয়েছিলেন। নিজের কিশোরীবেলার দিকে ফিরে নস্ট্যালজিক হয়ে পড়েন অভিনেত্রী।
তিনি বলেন, তাঁর বাবা একটি বারো বছর বয়সী আড়ষ্ঠ এক কিশোরীকে আমেরিকা পাঠায়। কিন্তু সেখানে গিয়ে খানিকটা কুল সাজতে গিয়ে নিজের লুক বদলান প্রিয়াঙ্কা। বিনুনী ছেড়ে সোজা হেয়ারস্টাইল, চুল কেটে ফেলেন দেশি গার্ল। এরপর প্রায় চার বছর পর আমেরিকার খাদ্যাভাস, চলন রপ্ত করে দেশে ফেরেন অভিনেত্রী। কতকটা মার্কিন হরমোন মজ্জায় প্রবেশ করেছিল তাঁর। পাশাপাশি যতটা তাঁর বাবা আশা করেছিলেন তাঁর চেয়েও বেশি পরিণত যুবতি হিসেবে দেশে ফেরেন জোনাস পত্নী।
তাঁর কথায়, নিজের ছোট শহরে যখন বাইরে বেরোতেন প্রিয়াঙ্কা, তখন বেশ কিছু ছেলে অনুসরণ করত তাঁকে। একবার একটি ছেলে রাত দুপুরে তাঁর ব্যালকনিতে এসে পড়ে। ঘটনায় চিন্তিত হয়ে পড়েন তাঁর বাবা। এরপরই প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার বাবা তাঁকে বলেন, জিন্স-সহ যাবতীয় পশ্চিমী পোশাক তুলে রেখে ঢিলেঢালা পোশাক অথবা ভারতীয় সালোয়ার কামিজ পরতে হবে তাঁকে। সেই সময় অভিনেত্রীর বাবা একজন ড্রাইভারকেও ঠিক করে দিয়েছিলেন, যে তাঁকে সব জায়গায় নিয়ে যেত। বাবার উপর সে সময় অসন্তুষ্ট হলেও নিজের কেরিয়ারে অনেকটা এগিয়ে আসার পর পিছনের কথাগুলো চিন্তা করে রীতিমতো খারাপ লাগতো অভিনেত্রীর।
প্রিয়াঙ্কা চোপড়া জানান, তিনি মেনে নিয়েছেন যে সেই সময় অত্যন্ত অবাধ্য ছিলেন। তখন না বুঝলেও এখন সে সময়কার গুরুত্বটা উপলব্ধি করতে পারেন। তাঁর কথায়, এখন চিন্তা করলে অবাক হয়ে যান যে সে সময় এগুলো করেছিলেন তিনি! সে সময় তিনি ভাবতেন, যা খুশি তাই করতে পারেন। একদিন যখন তাঁর ঘরে এক বহিরাগত চলে এসেছিল তখন তাঁর বাবাকে দেখে পালিয়ে যায় সে। কিন্তু এরপর তাঁর বাবা কড়া নিয়ম করে দেন,আর সেই নিয়ম মানতে বাধ্য করেন অভিনেত্রীকে।
বর্তমানে বলিউডের গণ্ডি ছাড়িয়ে হলিউডেও অন্যতম ব্যস্ত অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা। চিরকালই বাবা অশোক চোপড়ার 'লিটল গার্ল' তিনি। প্রিয়াঙ্কার প্রতি তাঁর শাসন যেমন কড়া ছিল তেমনই ভালোবাসাও ছিল অফুরান। তাই কেরিয়ারের এক গুরুত্বপূর্ণ পর্বে এসে বাবার সঙ্গে জড়িয়ে থাকা স্মৃতির অ্যালবাম সর্বসমক্ষে হাজির করলেন অভিনেত্রী।