Pori Moni | Sariful Razz | Tama Mirza: রাজ-পরীর মারামারি থামাতে গিয়ে আহত তমা? মুখ খুললেন অভিনেত্রী
Pori Moni | Sariful Razz: মারপিট করে আহত পরীমণি ও শরিফুল রাজ। আহত হয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন দুজনেই। কিন্তু এই ঝগড়ার মাঝেই নাম জড়ায় আরেক অভিনেত্রী তমা মির্জার। এবার সেই বিষয়ে মুখ খোলেন ‘সুড়ঙ্গ’-খ্যাত অভিনেত্রী।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: চিত্রনাট্যকেও হার মানাবে শরিফুল রাজ(Sariful Razz) ও পরীমণির(Pori Moni) দাম্পত্য। এই ভাব তো এই ঝগড়া, এই মিলন তো এই বিচ্ছেদ, তবে এবার সেই সবকে হার মানিয়েছেন তাঁরা। শোনা যাচ্ছে, এক পরিচালকের অফিসে মারামারি করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন পরীমণি ও রাজ। তবে তাঁরা একা নন, এবার এই ঘটনায় নাম জড়িয়েছে ‘সুড়ঙ্গ’-খ্যাত নায়িকা তমা মির্জার(Tama Mirza)। রাজ-পরীর মারামারি থামাতে গিয়েই নাকি আহত হয়েছেন তিনি। যার জেরে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে তাঁকে।
দুদিন আগেই একসঙ্গে ছেলের জন্মদিনের কেক কাটতে দেখা গিয়েছিল রাজ ও পরীমণিকে। তারপরেই তাঁরা ঘোষণা করলেন যে ছেলের কারণেই ফের এক হচ্ছেন তাঁরা। এমনকী রাজ নাকি পরীর বাড়িতেও থাকতে শুরু করেন। ছেলের সঙ্গে সময় কাটানোর কথাও সংবাদমাধ্যমে শেয়ার করেন। এর মাঝেই শোনা যায় যে সে খবর মিথ্যে। তাঁরা এক হননি। এমনকী পরীর বাড়ি থেকে চলেও গেছেন রাজ। এরমাঝেই হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন পরী। তবে তিনি একা নন, পরী জানান তমা মির্জাও ভর্তি হাসপাতালে। এরপরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় রক্তাক্ত শরিফুল রাজের ছবি। সেখান থেকেই সামনে আসে নয়া খবর। এক নির্মাতার অফিসে নাকি হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে রাজ ও পরী। হাত কেটে যায় পরীর, মাথায় আঘাত পান রাজ এবং তাঁদের থামাতে গিয়ে আহত হন অভিনেত্রী তমা মির্জাও।
এবার এই বিষয়ে মুখ খুললেন তমা। তিনি বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে জানান, ‘প্রথম কথা হচ্ছে কেউ কারো হাতে মার খেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে কি চেকইন দেয়? আমি কিন্তু হাসপাতালে ঢুকেই সেটা দিয়েছি। দ্বিতীয়ত, আমি সেই মেয়ে, যে স্বামীর হাতের মার খেয়ে ঘর ছেড়েছি। সেটার প্রকাশ্য প্রতিবাদ করার জন্য যা যা করা দরকার করেছি। তো সেই মেয়েটিকে অন্য কারো জামাই এসে মেরে চলে যাবে, আর আমি চুপচাপ হাসপাতালে শুয়ে কাঁদবো- সেটা তো কল্পনাই করতে পারি না। আমার বক্তব্য স্পষ্ট, রাজ-পরীর মারামারির যে ঘটনার কথা বলা হচ্ছে, সেটার আশপাশেও আমি ছিলাম না। এমনকী ১৮ আগস্ট সন্ধ্যায় রাজ-পরী বাসা থেকে বেরিয়ে আমাকে ফোনও করেছে দেখা করার জন্য। আমি বলেছি, আমার জ্বর। আজ দেখা হবে না। এরপর পরী বলল, ওকে বাসায় রেস্ট নাও। কাল দেখতে আসব। এর মধ্যে কী হলো, আমি আর জানি না।’
পরীমণির সঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার বিষয়ে তমা বলেন, ‘১৮ আগস্ট সন্ধ্যার পর জ্বরের অবস্থা খারাপ হওয়ায় আমি ১০টার দিকে হাসপাতালে যাই। ভর্তি হই। প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। সবাই জানেন, আমার অ্যাজমাটিক প্রবলেম রয়েছে। কিডনিতেও সমস্যা রয়েছে। ফলে শরীরে যাই হোক, তখন এগুলো জেগে ওঠে। হাসপাতালে ভর্তি হয়ে আমি ওষুধ খেয়ে তো অচেতন অবস্থা। হঠাৎ আম্মু ডেকে উঠিয়ে বলল, পরী এসেছে। উঠে দেখি পরী হুইল চেয়ারে। সঙ্গে রাজ্য-চয়নিকা বউদি, নাচের দুটো ছেলেসহ বেশ কয়েকজন আমার কেবিনে। পরী বললো, ওর জ্বর এসেছে। তাই চলে এসেছে। এরপর কাশতে কাশতে গল্প করলাম, সেটাই শেষ।’ তবে পরীমণির প্রতি কিছুটা বিরক্তও হয়ে তিনি বলেন, ‘সেদিন রাতে ক্যানুলা হাতে তাদের দুই হাতের ছবি ফেসবুকে পোস্ট না করলে তাকে ‘মার খাওয়া’র গল্পটা শুনতে হতো না। এটা পরীমণি ঠিক করেনি।’
আরও পড়ুন- Nobleman: দুর্ঘটনায় আহত ‘মদ্যপ’ নোবেল, উদ্ধারকারীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, নিন্দার ঝড় নেটপাড়ায়
সত্যিই কি রাজ ও পরীর মধ্যে হাতাহাতি হয়েছিল? এই বিষয়ে অভিনেত্রী বলেন, ‘পরী আমাকে এ বিষয়ে কিছুই শেয়ার করেনি। হতে পারে আমার শরীর খুবই খারাপ, তাই। হতে পারে, বলার মতো কিছুই ঘটেনি। তবে আমি পরীকে যতটুকু এখন দেখছি, সে তার রাজ্য ছাড়া পৃথিবীর আর কিছুর সঙ্গে নেই। না শুটিং, না মডেলিং, না আড্ডা। তার পুরো দুনিটাই এখন রাজ্য। ওর সুখটাই পরীর সুখ।’