আয়োজকদের 'হুমকি', প্রশাসনিক চাপে 'দেশের নামে' নাটক বন্ধের অভিযোগ ঋতব্রতর
তবে যতই চমকানো বা ধমকানো হোক না কেন, তাঁরা হার মানবেন না বলে জানান ঋতব্রত।
নিজস্ব প্রতিবেদন: নাট্যকর্মী ঋতব্রত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত এবং অভিনীত নাটক বন্ধ করিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করে এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেন তরুণ অভিনেতা নিজে। প্রশাসনিক চাপে এই রাজনৈতিক নাটক বন্ধ হয়েছে। দাবি ঋতব্রতর (Rwitobroto Mukherjee)।
'দেশের নামে', নাটকটি আজ কল্যাণীতে (Kalyani) মঞ্চস্থ হওয়ার কথা ছিল। ঋতব্রতর অভিযোগ, তা চাপ দিয়ে বন্ধ করিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁর আরও অভিযোগ, আয়োজকদের কাছে রীতিমতো 'হুমকির' সুরেই উপরমহল থেকে নির্দেশ আসে যাতে নাটকটি না করতে দেওয়া হয়। এরপরই ওই নাটকটি বন্ধ করার জন্য আয়োজকদের তরফে তাঁদের পালটা 'হুমকি' দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ঋতব্রতর। আয়োজকরা বাধা দেওয়ার পরই বন্ধ করে দেওয়া হয় এই নাটক। তবে যতই চমকানো বা ধমকানো হোক না কেন, তাঁরা হার মানবেন না। দেশের নামে নাটকটির মাধ্যমে যে বার্তা দিতে চেয়েছিলেন, তা বেশ কিছুটা সফল হয়েছে। সেই কারণেই এই নাটক বন্ধ করিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ঋতব্রতর।
আরও পড়ুন : 'BJP ইভিল পার্টি', দল বদলে তৃণমূলে যোগ দিয়ে অভিযোগ Subhadra-র
তরুণ নাট্যকর্মী আরও বলেন, ভালবেসে এই নাটকের কাজ তাঁরা করেছিলেন। যেখানে একটি সংলাপ ছিল, "মানুষের জন্য, দেশের জন্য কিচ্ছু করেননি। যা করেছেন শুধু নিজেদের জন্য!"। এই সংলাপটির জন্যই হয়ত অনেকে ভয় পেয়ে গিয়েছেন। সেই করণে পরপর ৪ জায়গায় মঞ্চস্থ হওয়ার পর কল্যাণীতে এই নাটকটিকে মঞ্চস্থ করতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন নাট্যকর্মী। নাটকটিকে যেহেতু বন্ধ করা হচ্ছে, তাই সোশ্যাল মিডিয়ার (Social Media) মাধ্যমে মানুষের কাছে সেই বার্তা পৌঁছে দিতে চান বলেও জানান ঋতব্রত মুখোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন : Bonny-র সঙ্গে বিজেপিতে Koushani-ও? ছাড়ছেন তৃণমূল?
নাটকটি বন্ধ করার পর এর প্রতিবাদ করার চেষ্টা তাঁরা করবেন। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেই হয়ত প্রতিবাদ করবেন তাঁরা। পাশাপাশি যদি হলে করতে না দেওয়া হয়, তাহলে রাস্তায় নেমে এই নাটকটি তাঁরা করবেন বলে স্পষ্ট জানান ঋতব্রত মুখোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত আর কয়েকদিনের মধ্যে শুরু বিধানসভা নির্বাচন। ভোটের আগে লাগু হয়ে গিয়েছে মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট। তাই কোনওভাবেই এই রাজনৈতিক নাটক ঋতব্রতরা মঞ্চস্থ করতে পারবেন না বলে আয়োজকদের তরফে জানানো হয় ঋতব্রত মুখোপাধ্যায়দের।