কমিশনের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘাতের রাস্তাতেই হাঁটল সরকার
নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘাতের রাস্তাতেই হাঁটল সরকার। অপসারিত অফিসারদের ভোটের পরে পুরনো পদে ফেরানোর বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সরকার ভুল করেনি। কমিশনকে চিঠিতে লিখলেন মুখ্যসচিব সঞ্জয় মিত্র। তবে ভোটপর্বে কমিশনের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই সরকার কেন ওই বিজ্ঞপ্তি দিল, কমিশনের তোলা সেই প্রশ্নের জবাবটাই এড়িয়ে গেছেন মুখ্যসচিব।
নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘাতের রাস্তাতেই হাঁটল সরকার। অপসারিত অফিসারদের ভোটের পরে পুরনো পদে ফেরানোর বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সরকার ভুল করেনি। কমিশনকে চিঠিতে লিখলেন মুখ্যসচিব সঞ্জয় মিত্র। তবে ভোটপর্বে কমিশনের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই সরকার কেন ওই বিজ্ঞপ্তি দিল, কমিশনের তোলা সেই প্রশ্নের জবাবটাই এড়িয়ে গেছেন মুখ্যসচিব।
রবিবার বেলা এগারোটার মধ্যে জবাব দিতে হবে। মুখ্যসচিবকে চিঠিতে নির্দেশ দিয়েছিল কমিশন। রবিবার ছুটির দিনেও তাই সকাল নটা পঞ্চাশ নাগাদ নবান্নে পৌছে যান মুখ্যসচিব সঞ্জয় মিত্র। জবাবি চিঠির বয়ান লিখিয়ে তা কমিশনের কাছে পাঠানোর পরে নবান্ন ছেড়ে গেলেন বেলা সওয়া এগারোটা নাগাদ।
চিঠিতে স্পষ্ট কমিশনের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতের রাস্তাতেই যাচ্ছে সরকার। মুখ্যসচিব লিখেছেন, কমিশনের নির্দেশ মেনে জেলাশাসক, অতিরিক্ত জেলাশাসক, পুলিস সুপারদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ভোটের পরে অপসারিত অফিসারদের পুরনো পদে ফেরানো যাবে বলে কর্নাটক আদালতের রায়ের কথাও উল্লেখ করেছেন মুখ্যসচিব। ঠিক যে কথাটা আটই এপ্রিল বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
আটই এপ্রিল মুখ্যমন্ত্রী যা বলেছিলেন, সেই সিদ্ধান্তই নয়ই এপ্রিল বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দেন মুখ্যসচিব। কমিশনকে জবাবি চিঠিতে মুখ্যসচিব লিখেছেন, নয়ই এপ্রিল তাঁর জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অপসারিত সব অফিসারকেই ভোটের পরে নিজেদের পুরনো পদে ফেরানো হবে। মুখ্যসচিবের সাফ কথা, ভোটের পরে কোন অফিসারকে কোন পদে বসানো হবে তা সম্পূর্ণ ভাবেই নির্বাচন কমিশনের এক্তিয়ারে বাইরে। সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার রাজ্য সরকারের। তাই সেই নির্দেশিকা জারি করে কোনও ভুল হয়নি।
মুখ্যসচিবের জারি করা বিজ্ঞপ্তি সম্পর্কে কমিশন জানতে চেয়েছিল, ভোটপর্বের মধ্যে বিজ্ঞপ্তি জারির আগে কেন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করল না সরকার? সেই চিঠি নবান্নে পৌছয় ২৫ এপ্রিল। ২৭ এপ্রিল পাঠানো জবাবি চিঠিতে সেই মূল প্রশ্নের জবাব অবশ্য এড়িয়েই গেছেন মুখ্যসচিব।