রাজ্যগুলিকে ই-সিগারেটে নিষেধাজ্ঞা জারির পরামর্শ দিল কেন্দ্র

জনস্বাস্থ্য রক্ষার বৃহত্তর স্বার্থে মঙ্গলবার একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্যগুলিকে ইলেক্ট্রনিক নিকোটিন ডেলিভারি সিস্টেম (ENDS)-এর উত্পাদন, বিক্রয়ের উপর নিষেধাজ্ঞা জারির পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

Updated By: Aug 29, 2018, 02:38 PM IST
রাজ্যগুলিকে ই-সিগারেটে নিষেধাজ্ঞা জারির পরামর্শ দিল কেন্দ্র

নিজস্ব প্রতিবেদন: ই-সিগারেট বা ওই জাতীয় দ্রব্যের উত্পাদন, বিক্রয় বা আমদানির ক্ষেত্রে রাজ্যগুলিকে নিষেধাজ্ঞা জারির পরামর্শ দিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। জনস্বাস্থ্য রক্ষার বৃহত্তর স্বার্থে মঙ্গলবার একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্যগুলিকে ইলেক্ট্রনিক নিকোটিন ডেলিভারি সিস্টেম (ENDS)-এর উত্পাদন, বিক্রয়ের উপর নিষেধাজ্ঞা জারির পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ই-সিগারেট বা ওই জাতীয় দ্রব্যে ব্যবহারের ফলে হৃদরোগের (কার্ডিওভাসকুলার) আশঙ্কা বৃদ্ধি পায় বা ফুসফুসের সমস্যা দেখা দেয়। শুধু তাই নয়, ই-সিগারেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে যাঁরা সন্তানসম্ভবা, তাঁদের গর্ভস্থ ভ্রূণও ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, পঞ্জাব, কর্ণাটক, মিজোরাম, কেরল, জম্মু ও কাশ্মীর, উত্তরপ্রদেশ এবং বিহারে ইতিমধ্যেই ইলেক্ট্রনিক নিকোটিন ডেলিভারি সিস্টেম (ENDS)-এর উত্পাদন, বিক্রয় বা আমদানির ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।

সিগারেটের বিকল্প হিসেবে ই-সিগারেট ব্যবহার করে ইদানীং সমস্যায় পড়ছেন অনেকেই। ক্যানসার বিশেষজ্ঞ এবং চিকিৎসকেরাও মানুষকে এই বস্তুটি ব্যবহার করা থেকে সতর্ক করছেন বারবার। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ই-সিগারেটের তরল মিশ্রণ (ই-লিকুইড)-এর মধ্যে থাকে প্রপেলিন গ্লাইসল, গ্লিসারিন, পলিইথিলিন গ্লাইসল, নানাবিধ ফ্লেভার এবং নিকোটিন। গরম হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই রাসায়নিক গুলি থেকে সাধারণ সিগারেটের ধোঁয়ার সমপরিমাণ ফরমালডিহাইড উৎপন্ন হয়। এ ছাড়াও ই-সিগারেটের ধোঁয়ায় থাকে অতিসূক্ষ রাসায়নিক কণা যা ভীষণই ক্ষতিকারক।

ই-সিগারেটে যেভাবে রাসায়নিক নিকোটিন ব্যবহার করা হয় তা ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই) দ্বারা অনুমোদিত নয় বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এর অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহারে মৃত্যুও হতে পারে বলে জানাচ্ছেন তাঁরা। তবুও ই-সিগারেটের প্রতি সবচেয়ে বেশি আসক্ত হচ্ছে যুবসমাজ। কারণ, ধূমপান নিষিদ্ধ এমন ক্লাব বা পানশালাতেও ই-সিগারেট ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়। আর তাতেই ই-সিগারেটের চাহিদা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। জাপানের একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ই-সিগারেট সাধারণ সিগারেটের চেয়েও ১০ গুণ বেশি ক্ষতিকারক। তাই জনস্বাস্থ্য রক্ষার বৃহত্তর স্বার্থে রাজ্যগুলিকে ইলেক্ট্রনিক নিকোটিন ডেলিভারি সিস্টেম (ENDS)-এর উত্পাদন, বিক্রয় বা আমদানির ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারির পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক।

.