প্রথম ডোজেই ৯০% ক্যান্সার সারানোর দাবি চিকিত্সকদের
ক্যান্সার। মানুষের জীবনে সবথেকে বড় অভিশাপ। যখন প্রতিটা মুহূর্তই হয়ে ওঠে একরাশ আতঙ্ক নিয়ে মৃত্যুর অপেক্ষা করা। সেই ক্যান্সার যদি সারিয়ে তোলা যায়? শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও এমনই দাবি করছেন নতুন প্রজন্মের চিকিত্সকরা।
ওয়েব ডেস্ক: ক্যান্সার। মানুষের জীবনে সবথেকে বড় অভিশাপ। যখন প্রতিটা মুহূর্তই হয়ে ওঠে একরাশ আতঙ্ক নিয়ে মৃত্যুর অপেক্ষা করা। সেই ক্যান্সার যদি সারিয়ে তোলা যায়? শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও এমনই দাবি করছেন নতুন প্রজন্মের চিকিত্সকরা।
গজিভা ড্রাগ এখনও পরীক্ষা নিরীক্ষার পর্যায়ে থাকলেও চিকিত্সকরা দাবি করছেন এই ওষুধের প্রয়োগে প্রথম বারেই লিউকোমিয়া ৯০% শতাংশ সারিয়ে দেবে। এই নতুন ওষুধ অস্ট্রেলিয়ায় ব্যবহারের অনুমোদন পেলেও ফার্মাসিউটিক্যাল বেনিফিট স্কিম এখনও এই ওষুধের ওপর ছাড় দেয়নি। নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অফ মেডিসিনে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী এই ওষুধের সঙ্গে কেমোথেরাপি রুখে দিতে পারে ক্যান্সার।
সত্তর বছর বয়সী ক্যান্সার অক্রান্ত এডওয়ার্ড ম্যাকনাবের ওপর অস্ট্রেলিয়ায় প্রথম এই ওষুধের ট্রায়াল হয়েছে। উনষাট বছর বয়সে তাঁর শরীরে প্রথম ধরা পড়ে ক্যান্সার। তিনি জানালেন, "যদি ট্রায়ালের মধ্যে দিয়ে না যেতাম তাহলে হয়তো তখন থেকে আর ৩ বছর বাঁচতাম। ট্রায়ালের পর এখনও বেঁচে রয়েছি আমি। প্রথম ডোজের পর মনে আমার চোখ ঠিকরে বেরিয়ে আসছিল। মাথা থেকে পায়ের পাতা পর্যন্ত পিন ফোটানো হয়েছিল। চিকিত্সকরা জানান এই ডোজ আমার শরীরে ক্যান্সারের গতি ১০ বছর কমিয়ে দিল।"
মোনাশ ইউনিভার্সিটির হেমাটোলজি ডিপার্টমেন্টের প্রফেসর স্টিফেন ওপাট জানালেন, "এখনও পর্যন্ত মোট ১০ জনের ওপর ট্রায়াল চালানো হয়েছে। আমরা আশা করিনি এত দ্রুত ট্রায়াল চালাতে পারবো। যখন শরীরে প্রচুর লিউকোমিয়া কোষ থাকে ও চিকিত্সার ফলে সেগুলো তাড়াতাড়ি মরে যেতে থাকে তখন শরীর খুব অসুস্থ হয়ে যায়।" তবে রক্তের শ্বেতকণিকা কমে যাওয়ায় শরীরে দ্রুত ইনফেকশন ছড়িয়ে পড়তে পারে। জ্বর, কাশি, পেশি ও হাড়ে যন্ত্রনা হতে পারে।
২০১২ সালে সারা বিশ্বে লিউকোমিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩ লক্ষ ৫২ হাজার। যার মধ্যে ২ লক্ষ ৬৫ হাজার জনের মৃত্যু হয়েছে। শিশুদের ক্ষেত্রে এই ক্যান্সারের প্রবণতা সবথেকে বেশি দেখা যায়।