'বেশি সংক্রামক',ভারতের Double Mutant Coronavirus চিন্তা বাড়াচ্ছে বিশ্বেরও

মার্চ মাসেই পাওয়া গিয়েছিল Double Mutant Covid Virus

Updated By: Apr 20, 2021, 01:19 PM IST
'বেশি সংক্রামক',ভারতের Double Mutant Coronavirus চিন্তা বাড়াচ্ছে বিশ্বেরও

নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনার দ্বিতীয় ঢেউতে কাবু গোটা দেশ। নিত্যদিন রেকর্ড সংক্রমণে দেশের করোনা গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। বিশ্বজুড়ে নতুন উদ্বেগের নেপথ্যে ভারতের ডবল মিউট্যান্ট কোভিড ভাইরাস (Double Mutant Covid Virus)। এই ডবল মিউট্যান্ট ভাইরাসের জন্য ব্রাজিলকে টপকে আবারও করোনায় বিধ্বস্ত দেশগুলির মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে ভারত। বিশেষজ্ঞদের দাবি, করোনাভাইরাসের এই নতুন এবং আরও মারাত্মক প্রজাতিই ১৩০ কোটির দেশে ক্রমশ চিন্তা বাড়াচ্ছে। 

আরও পড়ুন: EPF Withdrawal: করোনা চিকিৎসায় PF Loan এর সুবিধা, জানুন কিভাবে

পয়লা মে থেকে ১৮ বছরের উর্ধ্বে সকলকে টিকা দেওয়ার কথা ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছে সরকার। কিন্তু শুধু টিকা নিয়ে কি মিলছে সুরাহা? ডবল মিউটেশন হওয়া করোনাভাইরাস এর নতুন প্রজাতি যেভাবে ঝড়ের গতিতে ছড়াচ্ছে তাতে প্রশ্ন উঠছে গবেষকদের মনেও। সুদূর আমেরিকাতেও মিলেছে এর প্রাদুর্ভাব। উদ্বেগ বাড়ছে গোটা বিশ্বেই।

আরও পড়ুন:  Covid 19 Update: দেশে রেকর্ড মৃত্যু, দৈনিক ১৭০০ ছাড়াল, পরিস্থিতি উদ্বেগজনক

গবেষণায় উঠে এসেছে, এদেশে চলতি বছরের মার্চ মাসের শেষের দিকে করোনার ডবল মিউট্যান্ট ভাইরাসের খোঁজ মেলে। দাবি করা হচ্ছে যে দেশে এই ভাইরাস একবার ঢুকে পড়বে, দফারফা করে ছাড়বে। ২০২০ এর তুলনায় প্রতিদিন তিন গুণ মানুষকে সংক্রমিত করছে নয়া প্রজাতি। বেশি সংক্রামক এই ভ্যারিয়েন্ট ভারতের অধিকাংশ রাজ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মিলেছে প্রমাণ। কেউ যদি ভ্যাকসিন নিয়ে থাকেন বা কারো যদি আগে করোনা হয়েও থাকে তাহলেও রোগ-প্রতিরোধক্ষমতা কিছুটা হলেও ভাঙতে সক্ষম এই নয়া প্রজাতি। নতুন প্রজাতির E484Q ও L452R এর প্রভাবেই সংক্রমণ লাফিয়ে বাড়ছে বলে মত গবেষকদের।

আরও পড়ুন: দেশের দুই টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থাকে ৪৫০০ কোটির ঋণ দিচ্ছে কেন্দ্র

এখনো পর্যন্ত ভারতে করোনার তিনটি নতুন প্রজাতি পাওয়া গিয়েছে। এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্রিটেনের প্রজাতি। এছাড়াও দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিলের প্রজাতি মিলেছে। নতুন প্রজাতি রুখতে কোভিশিল্ড কতটা কার্যকরী তা নিয়ে গবেষণা চালিয়েছেন ব্রিটেনের একদল বিজ্ঞানী। কিন্তু দেখা যাচ্ছে ভ্যাকসিন নেওয়ার পরেও আক্রান্ত হচ্ছেন মানুষ। কাজেই প্রশ্ন উঠছে, কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিন নতুন প্রজাতি রুখতে আদৌ সক্ষম কিনা।

.