শিশুর কত ক্ষণ টিভি দেখা, মোবাইল ঘাঁটা নিরাপদ, জানাল হু

ইদানীং স্মার্টফোন, টিভি আর কম্পিউটারের সঙ্গে সময় কাটাতেই বাচ্চারা বেশি অভ্যস্ত হয়ে পড়ে যা তাদের ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক!

Updated By: Apr 29, 2019, 10:17 AM IST
শিশুর কত ক্ষণ টিভি দেখা, মোবাইল ঘাঁটা নিরাপদ, জানাল হু
--প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব প্রতিবেদন: বর্তমানে চূড়ান্ত কর্মব্যস্ততার চাপে বেশির ভাগ বাবা-মায়েরই তাঁদের সন্তানকে দেওয়ার মতো সময় অনেকটাই কমে গিয়েছে। একান্নবর্তী পরিবারের সংখ্যাও এখন ‘হাতে গোনা’। ফলে শিশুকে সময় দেওয়ার মতো কেউ নেই। তাই শিশুর খেলাধুলোর তেমন সুযোগ থাকে না। কারণ, তাকে মাঠে বা পার্কে নিয়ে যাওয়ার কেউ নেই। ফলে ক্রেস নয়তো বদ্ধ ঘরে স্মার্টফোন, টিভি, কম্পিউটারের সঙ্গেই কাটে এখনকার বেশির ভাগ শিশুর শৈশব। অনেকে অবশ্য সন্তানের দেখভালের জন্য একটি লোক রাখেন গ্যাঁটের কড়ি খরচা করে। এ ছাড়া উপায় কী! তাই ইদানীং স্মার্টফোন, টিভি আর কম্পিউটারের সঙ্গে সময় কাটাতেই বাচ্চারা বেশি অভ্যস্ত হয়ে পড়ে যা তাদের ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক!

স্মার্টফোন, টিভি বা কম্পিউটারের প্রতি সন্তানের অতিরিক্ত আকর্ষণ যে তার শারীরিক বাড়-বৃদ্ধি ও মানসিক বিকাশের ক্ষেত্রে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায় তা এখন বেশির ভাগ বাবা-মায়েই বোঝেন। কিন্তু ঠিক কতক্ষণ স্মার্টফোন, টিভি বা কম্পিউটারের সঙ্গে সময় কাটানো শিশুর জন্য নিরাপদ তা কি জানেন? এ প্রশ্নের উত্তর মিলেছে সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু-এর (WHO) একটি নির্দেশিকায়। ঠিক কী বলা হয়েছে এই নির্দেশিকায়? আসুন জেনে নেওয়া যাক...

আরও পড়ুন: বাসন মাজুন, দ্রুত কমবে মানসিক চাপ! দাবি গবেষকদের

সাম্প্রতিক নির্দেশিকায় হু জানিয়েছে, যত বেশি সময় শিশু টিভি, স্মার্টফোন বা কম্পিউটারের সঙ্গে কাটাবে, ততই তার মানসিক, শারীরিক বিকাশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ওই নির্দেশিকাতে স্পষ্টই বলা হয়েছে, শিশুর মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের পরিপূর্ণ বিকাশের জন্য টিভির পর্দা নয়, খেলার মাঠেই উপযুক্ত। ২ থেকে ৪ বছর বয়সী শিশুদের যত বেশি করে শারীরিক ক্রিয়াকলাপে, দোড়ঝাপ, খেলাধুলোয় নিযুক্ত করা যায়, ততই ভাল। হু-এর এই নির্দেশিকা অনুযায়ী, ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের টিভি, মোবাইল বা কম্পিউটারে সঙ্গে যতটা কম সময় কাটাবে, ততই ভাল। ৫ বছরের কম বয়সী শিশুরা দিনে বড়জোড় ১ ঘণ্টা টিভি বা কম্পিউটারের সঙ্গে সময় কাটাতে পারে। এর বেশি হলেই বাড়বে বিপদ! সুতরাং, সন্তানের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের পরিপূর্ণ বিকাশের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই নির্দেশিকা মাথায় রাখা অত্যন্ত জরুরি।

.