হরিয়ানার যুবকের সঙ্গে ১০ বছরের সম্পর্ক মায়ের, বেলেঘাটা শিশু খুনে নয়া মোড়
যদিও ঘটনার সঙ্গে যুবকের সরাসরি কোনও যোগাযোগ ছিল না, বা কোনও প্ররোচনা কাজ করেছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: কথাতেই রয়েছে মা-এর চোখকে ফাঁকি দেওয়া দুষ্কর। ফের একবার তা সত্যি হল। বেলেঘাটায় শিশু খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই তোলপাড় বিভিন্ন মহল। দফায় দফায় তদন্ততে উঠে এসেছে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য। ঠিক কোথা থেকে সন্দেহ দানা বেঁধেছিল, জালানেন পুলিস কর্তারাই। এক মা ধরিয়ে দিল আরেক মাকে।
আরও পড়ুন: মা-এর নিঁখুত ছকেই খুন দু-মাসের শিশু, বেলেঘাটা কাণ্ডের তদন্তে নয়া মোড়
জানা গিয়েছে, বেলেঘাটার শিশু খুনের ঘটনায় যখন আইপিএস থেকে দুঁদে গোয়েন্দারা অভিযুক্ত সন্ধ্যা জৈনকে জেরায় জানার চেষ্টা করছিলেন অপহরকারীদের কথা, ঠিক তখনই তাঁকে পর্যবেক্ষণ করেন বেলেঘাটা থানার এক মহিলা কনস্টেবল। সেই সময়ে শিশুকে কীভাবে পরিচর্যা করতেন সেই সম্পর্কে পুলিস আধিকারিকদের জানাচ্ছিলেন সন্ধ্য়া। অঙ্গভঙ্গি দেখে সন্দেহ হয় ওই মহিলা কনস্টেবলের। ব্যাপারটা জানান ডিসিকে। ডিসি সঙ্গে ওই মহিলা পুলিস কর্মীকেও জেরার সুযোগ দেন। এরপরই পর্দাফাঁস।
মাত্র ৪০ মিনিটের জেরাতেই ভেঙে পড়েন সন্ধ্যা জৈন। শুধু তাই নয়, তিনি জানান বিয়ের আগে থেকেই হরিয়ানায় এক যুবকের সঙ্গে দীর্ঘদিনের যোগাযোগও রয়েছে তাঁর। এমনকী দীর্ঘ ১০ বছর ধরে ফোনে ও সোশ্যাল সাইটে যোগাযোগ ছিল। যদিও ঘটনার সঙ্গে যুবকের সরাসরি কোনও যোগাযোগ ছিল না, বা কোনও প্ররোচনা কাজ করেছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।