আগামিকালই পেশ হচ্ছে ২১ জুলাই কমিশনের রিপোর্ট
২১ জুলাই কমিশনের রিপোর্টে কি কাঠগড়ায় উঠছে স্বরাষ্ট্র দফতর? তত্কালীন পুলিসমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে ক্লিনচিট দিয়ে আমলা ও পুলিস আধিকারিকদেরই কি চিহ্নিত করবে কমিশন? আগামিকালই পেশ হচ্ছে ২১ জুলাই কমিশনের রিপোর্ট।
ওয়েব ডেস্ক: ২১ জুলাই কমিশনের রিপোর্টে কি কাঠগড়ায় উঠছে স্বরাষ্ট্র দফতর? তত্কালীন পুলিসমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে ক্লিনচিট দিয়ে আমলা ও পুলিস আধিকারিকদেরই কি চিহ্নিত করবে কমিশন? আগামিকালই পেশ হচ্ছে ২১ জুলাই কমিশনের রিপোর্ট।
১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই। ধর্মতলায় যুব কংগ্রেসের মহাকরণ অভিযানে চলল ৭৫ রাউন্ড গুলি। মৃত্যু হয় ১৩ জন যুব কংগ্রেস কর্মীর। ২০১১ ক্ষমতায় আসার পরই এই ঘটনা নিয়ে কমিশন গঠন করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার। একুশে জুলাইয়ের ঘটনার সময় রাজ্যের পুলিসমন্ত্রী ছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। কমিশন গঠনের পর তলব করা হয় তাঁকে। সাক্ষ্য দেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু সহ ৩০০জন। লালবাজারের লগবুকেও সেদিনের গুলিচালনার অর্ডার ছিল।
তত্কালীন পুলিস কমিশনার সহ আট পুলিস কর্তার নির্দেশে সেদিন গুলি চলে। অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন তত্কালীন যুগ্ম পুলিস কমিশনার আর কে জহুরি, অতিরিক্ত পুলিস কমিশনার দীনেশ বাজপেয়ী, ডিসি সাউথ নওলকিশোর সিং। যদিও সেকথা মানতে চাননি সেদিন দায়িত্বে থাকা এই তিন পুলিস অফিসার। অন্য সাক্ষীদের বয়ানে অবশ্য উঠে এসেছে এই পুলিস অফিসারদের নাম। কিন্তু, সবকিছু খতিয়ে দেখে সম্ভবত স্বরাষ্ট্র দফতরকেই একুশে জুলাইয়ের জন্য দায়ী করতে চলেছে কমিশন।
সেক্ষেত্রে তত্কালীন স্বরাষ্ট্রসচিব মণীশ গুপ্ত র নাম উঠে আসতে পারে রিপোর্টে। তবে ঘটনার দিন উপস্থিত থাকা তত্কালীন বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করেনি কমিশন। তাদের যুক্তি, ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জেরা করা হয়েছে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের। জেরা করা হয়েছে আমলা ও পুলিসকর্তাদেরও। কিন্তু, সোমবারের রিপোর্টে কি রাজনীতিকদের ছাড় দিয়ে কাঠগড়ায় তোলা হচ্ছে শুধুমাত্র আমলা ও পুলিস অফিসারদেরই?