২১ জুলাইয়ের প্রথম নথি জমা পড়ল কমিশনে
অবশেষে ২১ জুলাই কমিশনের কাছে প্রথম কোনও নথি পৌঁছল ওই ঘটনার। বুধবার হেয়ার স্ট্রিট থানার তরফে ওই নথি কমিশনে জমা পড়ে। হেয়ার স্ট্রিট থানার বর্তমান ওসি প্রদীপ দাম কমিশনে উপস্থিত হয়েছিলেন।
অবশেষে ২১ জুলাই কমিশনের কাছে প্রথম কোনও নথি পৌঁছল ওই ঘটনার। বুধবার হেয়ার স্ট্রিট থানার তরফে ওই নথি কমিশনে জমা পড়ে। হেয়ার স্ট্রিট থানার বর্তমান ওসি প্রদীপ দাম কমিশনে উপস্থিত হয়েছিলেন।
১৯৯৩ সালের একুশে জুলাইয়ের ঘটনায় হেয়ার স্ট্রিট থানায় ২ টি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। তার মধ্যে একটি মামলার তদন্তের দায়িত্ব ছিল গোয়েন্দা দফতরের। ফলে সেই মামলার কোনও নথি ওসি জমা দিতে পারেননি। অন্য মামলাটির যাবতীয় নথি তিনি এদিন কমিশনে জমা দেন। আদালতে এই মামলাটির নিষ্পত্তি হয়ে গেলেও কমিশনের কাছে যথেষ্টই গুরুত্ব রয়েছে। তবে এসএসকেএম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও জানিয়েছে তাদের পক্ষে কোনও নথি খুঁজে পাওয়া সম্ভব নয়।
চলতি বছরের ২০ জুলাই ছিল ২১ জুলাইয়ের ঘটনায় গঠিত কমিশনের প্রথম শুনানির দিন। কিন্তু রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিবের অনুপস্থিতিতে মুলতুবি হয়ে যায় শুনানি। গত বছর ৪ নভেম্বর নতুন সরকারের তরফে ২১ জুলাইয়ের ঘটনায় এক সদস্যের তদন্ত কমিশন গঠিত হয়। দায়িত্ব দেওয়া হয় বিচারপতি সুশান্ত চ্যাটার্জিকে। ১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই যুব কংগ্রেসের মহাকরণ অভিযানে পুলিসের গুলিতে নিহত হয়েছিলেন ১৩ জন কর্মী। সেই ঘটনার তদন্তেই গঠিত এই কমিশন। প্রথমে কমিশনের মেয়াদকাল ৬ মাস থাকলেও পরে আরও ছমাস বাড়ানো হয়। স্বরাষ্ট্রসচিবকে ফের ডাকা হয়েছে আগামী ২২ অগাস্ট।