Accidents In Kolkata: গত ৫ বছরে শহর কলকাতায় দুর্ঘটনার তথ্যতালাশ, পুলিস বলছে কমেছে! আর আপনি
রবিবার বালিগঞ্জে এক মহিলাকে পিষে দেয় একটি বিলাসবহুল গাড়ি। বিপুল গতিতে আসা গাড়িটি দুটি গাড়িতে ধাক্কা মারে। সেটির একটির ধাক্কায় প্রাণ হারান পিকনিক গার্ডেনের বাসিন্দা শাশ্বতী দাসের। যিনি ঘাতক গাড়িটি চালাচ্ছিলেন তার বয়স মাত্র ১৯ বছর
রণয় তেওয়ারি: প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রস্তুতির সময় বেপরোয়া গাড়ি চলিয়ে বায়ুসেনা কর্মীকে পিষে দেওয়া থেকে রাতের কলকাতায় তীব্র গতিতে শেক্সপিয়র সরণীতে কোনও পথচারীকে মেরে ফেলার মতো একাধিক ঘটনা ঘটেছে এই শহরে। রবিবারও বালিগঞ্জে এক পথচারী মৃত্যু হয়েছে বিশাল গতিতে চলা একটি বিলাসবহুল গাড়ির দুর্ঘটনার জেরে। তবে কলকাতা পুলিস বলছে ২০১৬ সাল থেকে ২০২১ পর্যন্ত শহর কলকাতায় দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা কমেছে। দুর্ঘটনা বেশি হয়েছে রাতে ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে। এর পরই রয়েছে রাত নটা থেকে দশটা এই এক ঘণ্টা। কলকাতা পুলিসের তথ্য বলছে, ২০১৬ সালে যেখানে পথ দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ছিল ৪০৭ সেখানে ২০২১ সালে মৃ্তের সংখ্যা কমে হয় ১৯৬।
আরও পড়ুন-মঙ্গলকোটে তৃণমূল নেতার বাড়িতে পাওয়া গেল তাজা বোমা, আগ্নেয়াস্ত্র!
প্রসঙ্গত, রবিবার বালিগঞ্জে এক মহিলাকে পিষে দেয় একটি বিলাসবহুল গাড়ি। বিপুল গতিতে আসা গাড়িটি দুটি গাড়িতে ধাক্কা মারে। সেটির একটির ধাক্কায় প্রাণ হারান পিকনিক গার্ডেনের বাসিন্দা শাশ্বতী দাসের। যিনি ঘাতক গাড়িটি চালাচ্ছিলেন তার বয়স মাত্র ১৯ বছর। নাম সুয়েশ পরশরামপুরিয়া। তাকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করেছে পুলিস। প্রশ্ন উঠেছে বিপুল গতিতে ধেয়ে আসা ওই গাড়িটি কীভাবে পুলিসের নজর এড়িয়ে গেল? সম্প্রতি লেনিন সরণীতেও এরকম একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছিল। বহুতলের গেটের সামনে শুয়ে থাকা এক কিশোরীকে পিষে দিয়ে চলে যায় একটি বেপরোয়া গাড়ি।
গত পাঁচ বছরে কীভাবে কমলো দুর্ঘটনার সংখ্য়া? পুলিসের দাবি, সেফ ড্রাইভ সেভ লাইভ-এর জন্য দুর্ঘটনার সংখ্যা অনেকটাই কমেছে। পুলিস সূত্রে খবর, ২০২১ সালে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ১৯৬ জনের। এদের মধ্যে ৭৮ জনই পথচারী। শতাংশের হিসেব ধরলে ২০২১ সালে মৃতের সংখ্যা অন্তত ৪০ শতাংশ কমেছে। পুলিসে সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ২০২১ সালে যতজন মারা গিয়েছেন, তার মধ্যে বেশির ভাগ দুর্ঘটনাই রাতের দিকে হয়েছে। তবে এই পরিসংখ্যান কী এমনটা হতো যদি করোনার কারণে জনজীবন প্রায় স্তব্ধ না হয়ে যেত?
পুলিসের তথ্য বলছে
সকাল ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে মারা গিয়েছেন ১২ জন।
রাত ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে মারা গিয়েছেন ১৩ জন।
রাত ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে মারা গিয়েছেন ১৫ জন।
রাতের দিকেই সব থেকে বেশি মৃত্যু হয়েছে।
কোন সালে কত মৃত্যু
২০১৬: মৃতের সংখ্যা ৪০৭
২০১৭ : মৃতের সংখ্যা ৩২৯
২০১৮: মৃতের সংখ্যা ২৯৪
২০১৯: মৃতের সংখ্যা ২৬৭
২০২০: মৃতের সংখ্যা ২০১
২০২১: মৃতের সংখ্যা ১৯৬