পুরনোদের বাদ দিয়ে বৈঠকে ডাক ভারতীদের, নব্য বনাম আদি দ্বন্দ্ব বিজেপির অন্দরে

২০২১ সালে বিধানসভা ভোটের রণকৌশল কী? শুরু হয়েছে বিজেপির চিন্তন বৈঠক। 

Updated By: Aug 10, 2019, 05:12 PM IST
পুরনোদের বাদ দিয়ে বৈঠকে ডাক ভারতীদের, নব্য বনাম আদি দ্বন্দ্ব বিজেপির অন্দরে

অঞ্জন রায়

আদি ও নব্য। তৃণমূলের মতো বিজেপিতেও এখন পুরনো বনাম নতুনের লড়াই। চিন্তন বৈঠকের আগে যা অস্বস্তি চলে এল প্রকাশ্যে। ক্ষমতায় আসার আগেই গোষ্ঠীকোন্দল এমন পর্যায়ে চলে গিয়েছে, যে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে বঞ্চনার অভিযোগ করে দিয়েছেন পুরনো নেতারা। তাঁদের বক্তব্য, যখন কেউ ছিল না, তখন তাঁরা ছিলেন। অথচ আজ তাঁরাই বাদ!           

২০২১ সালে বিধানসভা ভোটের রণকৌশল কী? কীভাবে শাসক দলের দুর্গে আঘাত হানা হবে? তা নিয়েই দুর্গাপুরে শুরু হয়েছে ২ দিনের চিন্তন শিবির। কিন্তু শাসকের বিরুদ্ধে রণকৌশল তৈরির আগে অন্দরের নব্য ও আদি বিজেপির লড়াই আর চাপা দিতে পারল না বিজেপি। 

২ দিনের চিন্তন শিবিরে যোগ দিয়েছে ৪১ বিজেপি নেতা। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন রাজ্যে ৭ সাংসদ। প্রথমে ৩৭ জনের যোগদানের কথা ছিল। পরে দিল্লির নির্দেশে রাজু বিস্ত, সৌমিত্র খাঁ, ভারতী ঘোষ ও মাফুজা খাতুনকে সামিল করা হয়। অথচ বাদ গিয়েছেন রাজ্য কমিটির পদাধিকারীরাই। তাঁরাই বলছেন, ভারতী ঘোষ, সৌমিত্র খাঁ তো লোকসভা ভোটের আগে দলে এসেছেন। ভারতী ঘোষ তো এই সেদিনও বিজেপি কর্মীদের মারধর করতেন। রাজু বিস্ত তো বিজেপির সদস্যই ছিলেন না। তাঁরা ডাক পেলেন অথচ দীর্ঘদিন তিলে তিলে যাঁরা বাংলায় দলটা গড়লেন, তাঁদের উপেক্ষা করলেন রাজ্য নেতারা। অনেকের আবার বক্তব্য, সংগঠন যাঁরা তৈরি করলেন, তাঁদের চিন্তাধারা কী আর প্রয়োজনা নেই বলে মনে করছে দল। 

 আদি-নব্য বিজেপির দ্বন্দ্ব কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর সাফাই, '৪২টি কেন্দ্রে ৪২জন প্রার্থী ছিল। দল যাঁদের প্রয়োজন মনে করেছে, তাঁদের ডাকা হয়েছে। দরকারে সকলের মতামতই নেওয়া হবে।'

লোকসভা ভোটে তৃণমূলের ভরাডুবির কারণ হিসেবে উঠে এসেছে, দলের অন্দরে আদি ও নব্য তৃণমূলীদের লড়াই। নব্যদের দাপটে আদিরা ছিটকে গিয়েছেন। খোদ তৃণমূল নেত্রীই হুগলির নেতাদের সঙ্গে সভায় নাম ধরে ধরে খোঁজ করেছিলেন পুরনো নেতাদের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, 'ভালোবেসে দলটা করত আমার পুরনো কর্মীরা। তাঁদের ফিরিয়ে আনতে হবে।' 

লোকসভা ভোটের আগে দল বদলে অনেকে এসেছেন গেরুয়া শিবিরে। তাঁদের বেশিরভাগই টিকিট পেয়েছেন লোকসভায়। দলে এনিয়ে চাপা ক্ষোভ রয়েছে। এবার চিন্তন বৈঠকে যেভাবে নতুনদের প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে, তাতে সেই ক্ষোভ পড়েছে ঘৃতাহুতি। এমতাবস্থায় নব্য ও আদির কোন্দল সময়ে সামাল দিতে না পারলে ২০২১ সালে ফল ভোগ করতে হবে বিজেপিকে, মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের। 

আরও পড়ুন- তৃণমূলের মহিলা সাংসদ ও এক অধ্যাপিকার দলে যোগদানের প্রস্তাবে 'না' বিজেপির

.