যার নিষ্ঠা বেশি, সেই পাবে পুরস্কার! দুর্গাপুজোয় কমিটি ধরতে এবার প্রতিযোগিতা চালু বিজেপির
বলাই বাহুল্য, আচারবিধির ওপর পুজোর শ্রেষ্ঠত্ব বিচার এর আগে রাজ্যে কখনও হয়নি। আর সেই বিষয়টিকেই মাথায় রেখে বিজেপির এই উদ্যোগ।
নিজস্ব প্রতিবেদন: রামনবমী, রথের পর এবার দুর্গাপুজো!
সংগঠন মজবুত করতে আর বিধানসভা নির্বাচনের আগে জনসংযোগ বাড়াতে দুর্গাপুজোকেই ‘হাতিয়ার’ করতে মরিয়া বিজেপি। আর সেই লক্ষ্যেই এবার পুজোয় প্রতিযোগিতা চালু করল গেরুয়া শিবির। না, চিরাচরিত মণ্ডপসজ্জা কিংবা প্রতিমার শ্রেষ্ঠত্বের বিচারে নয়, এই প্রতিযোগিতা হবে পুজোর আচার-রেওয়াজের ওপর। অর্থাত্ কোন ক্লাব কমিটি কতটা নিষ্ঠাভরে রীতি ও সমস্ত আচার মেনে পুজো করছে, তার ওপরই হবে প্রতিযোগিতা। আর যে ক্লাব বা কমিটি জিতবে তাদের জন্য থাকবে আকর্ষণীয় পুরস্কার। তবে কী পুরস্কার, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
বলাই বাহুল্য, আচারের ওপর পুজোর শ্রেষ্ঠত্ব বিচার এর আগে রাজ্যে কখনও হয়নি। আর সেই বিষয়টিকেই মাথায় রেখে বিজেপির এই উদ্যোগ।
দেবশ্রীর সঙ্গে এক দলে থাকা সম্ভব নয়, দিলীপদের স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন শোভন
প্রসঙ্গত, বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে পশ্চিমবঙ্গে দলের সংগঠনে আরও জোর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। দুর্গাপুজোকে হাতিয়ার করেই দলীয় সংগঠন পাকাপোক্ত করার কৌশল নিয়েছেন তাঁরা। এনিয়ে ইতিমধ্যেই দলীয় নেতাদের নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছেন বিজেপিনেতা মুকুল রায়। সূত্রের খবর, পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি বলেছেন, “এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গে মোট ৪২ হাজার বারোয়ারি পুজো হয়। তার মধ্যে হাজার দুয়েক পুজো তৃণমূলের হাতে।” বাকি পুজো কমিটিগুলিতে সাহায্যের হাত বাড়িতে দেওয়ার জন্য দলীয় নেতাদের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মুকুলের ‘প্ল্যান এ’ অর্থাত্ দুর্গাপুজোর কমিটিগুলিকে ধরার পরিকল্পনা বিশেষভাবে সফল হয়নি। কারণ বিজেপি সাংসদ বিধায়করা নিজেদের এলাকায় ছোট ক্লাবগুলিকে আর্থিক সাহায্যের আশ্বাস দিলেও, তাতে বিশেষ সাড়া পাওয়া যায়নি। কলকাতার বড় বড় পুজো কমিটিগুলির ওপর তৃণমূলের প্রভাব হালকা হলেও, রাশ এখনও যে তাদের হাতেই, তা অস্বীকার করার জায়গা নেই। তাই এবার সামনে এল বিজেপি নেতৃত্বের ‘প্ল্যান বি’।
তবে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপূজায় তৃণমূল যে রাজনীতি ঢুকিয়েছিল, এবার সেই জুতোতেই পা গলাতে চাইছে বিজেপি।