কোন পথে এগোবে রাজ্য বিজেপির লড়াই আন্দোলন?
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের গলায় রাজ্যের তৃণমূল সরকারের প্রশংসা। সারদা ইস্যুতেও সুর নরম করছেন বিজেপি নেতারা। তাহলে কোন পথে এগোবে রাজ্য বিজেপির লড়াই আন্দোলন? ভোটের আগে কার্যত দিশেহারা এ রাজ্যের বিজেপি কর্মীরা।
ওয়েব ডেস্ক: কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের গলায় রাজ্যের তৃণমূল সরকারের প্রশংসা। সারদা ইস্যুতেও সুর নরম করছেন বিজেপি নেতারা। তাহলে কোন পথে এগোবে রাজ্য বিজেপির লড়াই আন্দোলন? ভোটের আগে কার্যত দিশেহারা এ রাজ্যের বিজেপি কর্মীরা।
দুর্নীতি , শিক্ষাক্ষেত্রে নৈরাজ্য- নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে গত মাসেই পথে নেমেছিলেন রাজ্যের বিজেপি কর্মীরা। দাবি তুলেছিলেন পদত্যাগ করতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে। গত মাসে এই ইস্যুতে আইন অমান্য করে জেলায় জেলায় মার খেয়েছেন বিজেপি কর্মীরা। জেলেও গিয়েছেন।
কিন্তু এক মাস কাটতে না কাটতেই দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের গলায় অন্যসুর। বিশ্ববঙ্গ শিল্প সম্মেলনে এসে রাজ্যের প্রশংসা করে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। রাজ্য কমিটির মিটিংয়ে এসেও অরুণ জেটলি তৃণমূল বিরোধিতা নিয়ে কোনও কথা বলেননি। আর এসবের জেরেই রীতিমতো বিভ্রান্তিতে রাজ্য বিজেপির কর্মীরা। তাঁরা বুঝতেই পারছেন না কোনদিকে এগোবে তাদের লড়াই আন্দোলন!
সে সারদা ইস্যুতে এক সময় তৃণমূলকে কড়া আক্রমণ করেছিল বিজেপি, সেখানেও এখন সুর নরম। বিজেপি নেতা অশোক সরকারের দাবি, দলের তরফে সিজিও কমপ্লেক্সের সামনে আন্দোলন করতে নিষেধ করা হয়েছে তাঁকে। ফেসবুকে সে কথা জানিয়েছেন তিনি। নতুন রাজ্য কমিটির এহেন পদক্ষেপে রীতিমতো হতাশ দলের কর্মীরা। মুখ ঢাকতে অবশ্য কেন্দ্রীয় নেতাদেরই দুষেছেন নতুন রাজ্য বিজেপি সভাপতি।
তৃণমূল বিরোধিতায় রাজ্যে বিজপির পালে কিছুটা হাওয়া লেগেছিল। কিন্তু ভোটের আগে কি বদলে যাবে দলের লড়াইয়ের অভিমুখ? এবার কী উল্টো পথে হাঁটতে বলবে দল? তলায় তলায় কী সমঝোতা হবে তৃণমূলের সঙ্গে? এসব প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে রাজ্য বিজেপির কর্মীদের মধ্যে।