বিজেপি, কংগ্রেস কেউ নয়, লোকসভায় বিকল্প নীতির সরকার চান বুদ্ধদেব
প্রয়াত সিটু নেতা চিত্তব্রত মজুমদারের স্মারক বক্তৃতা এবং ষোড়শ লোকসভা নির্বাচন এবং আমাদের কর্তব্য। এই নিয়ে জেলা বামফ্রন্টের অভ্যন্তরীন কর্মীসভা ছিল বৃহস্পতিবার। প্রধান বক্তা ছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও পলিটব্যুরো সদস্য বুদ্ধদেব। তিনি বলেন, লোকসভা ভোট আসন্ন। কিন্তু কংগ্রেস ও বিজেপি দুটোর কেউই নয়, আমাদের বিকল্প নীতির সরকার চাই।
প্রয়াত সিটু নেতা চিত্তব্রত মজুমদারের স্মারক বক্তৃতা এবং ষোড়শ লোকসভা নির্বাচন এবং আমাদের কর্তব্য। এই নিয়ে জেলা বামফ্রন্টের অভ্যন্তরীন কর্মীসভা ছিল বৃহস্পতিবার। প্রধান বক্তা ছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও পলিটব্যুরো সদস্য বুদ্ধদেব। তিনি বলেন, লোকসভা ভোট আসন্ন। কিন্তু কংগ্রেস ও বিজেপি দুটোর কেউই নয়, আমাদের বিকল্প নীতির সরকার চাই।
কংগ্রেস সম্পর্কে মানুষের মনোভাব স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। উদার অর্থনীতি, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, দারিদ্র এবং বেকারি সমস্যা, এগুলি খুবই স্পষ্ট। গত চারটি বিধানসভা ভোটে সেটা স্পষ্ট মানুষ কংগ্রেসকে চাইছে না। কিন্তু বিজেপিও মারাত্মক। মোদীর উন্নয়ন কেন নয়, তার যুক্তি হিসেবে বলেন, কর্পোরেট সেক্টরের একাংশকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা। শ্রমিকরা এই শিল্পপতিদের কাছে মাথানত করে দেখবে। তাই জরুরি বিকল্প নীতির সরকারের। বিকল্প নীতিটা কি। সেপ্রসঙ্গে বলেন, এমন সরকার চাই, যারা ভূমি সংস্কার করবে। বিভিন্ন বড় সংস্থা এলআইসির বেসরকারিক। ডিজেল পেট্রোলের দাম সরকারের হাতে থাকবে। জমি থাকবে কৃষকদের হাতে।
তিন বছরে রজ্য সরকার কী প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তার ফল কী হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলার অবনতি, শিল্প আসেনি, প্রচুর দুর্নীতি উঠে এসেছে। এপ্রসঙ্গে আন্না হাজারের প্রসঙ্গ তুলে আনেন। আন্না কী জানেন না, কী সরকার এখানে চলছে। এখানে চিটফান্ডের মালিকদের সরকারের মাথায় বসাচ্ছে তৃণমূল। মৌলবাদকে মদত দিচ্ছে এই সরকার। সেজন্য বামেদের প্রতিটি গণসংগঠনকে বুথে বুথে গিয়ে জনসংযোগ গড়তে হবে। প্রতিবাদ যেন গণপ্রতিবাদের রূপ নেয়। ভোটের আগে আত্মবিশ্বাসী হতে হবে। কংগ্রেস এবং তৃণমূল যারা ছেড়ে যাচ্ছে তাদের সমর্থন আদায় করতে হবে। কারণ বাম সমাবেশে ভিড় বাড়ছে। সমাবেশ ও সমর্থন এক জিনিস নয়। গত উপনির্বাচনে হাওড়ায় বামেদের ভাল ফল।