'সারদার সব নথি ট্রাঙ্কে ভরে আমি রাজীব কুমারকে দিয়েছিলাম', বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি দেবযানীর

আমাকে নিয়ে গিয়ে অফিসের নীচের তলার ঘর থেকে সারদার সমস্ত নথি ও কাগজপত্র বের করে পুলিস। আমি ২৩ দিন ধরে সারদার জমি ও মিডিয়া সংক্রান্ত সব তথ্য শর্টলিস্ট করে রাজীব কুমারকে দিয়েছিলাম।

Reported By: অর্ণবাংশু নিয়োগী | Updated By: Oct 23, 2019, 12:22 PM IST
'সারদার সব নথি ট্রাঙ্কে ভরে আমি রাজীব কুমারকে দিয়েছিলাম', বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি দেবযানীর

অর্ণবাংশু নিয়োগী : রাজীবের বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের মূল অস্ত্র দেবযানী মুখাপাধ্যায়ের স্বীকারোক্তি। দীর্ঘ সাত মাস অপেক্ষার পর সারদাকাণ্ডে অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত দেবযানীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। সেখানেই রাজীবের বিরুদ্ধে বয়ান দিয়েছেন দেবযানী। সূত্রে খবর, দেবযানীর পর এবার সুদীপ্ত সেনের বয়ান নেওয়ার জন্যও আদালতের কাছে আবেদন করেছে সিবিআই।

সিবিআইকে দেওয়া বয়ানে দেবযানী বলেছেন, "আমি বিধান নগর পুলিসকে বলেছিলাম, আমি আপনাদের সঙ্গে মিডল্যান্ড পার্কের অফিসে যেতে চাই। মিডিয়া এবং সারদা রিয়েলটি সংক্রান্ত নথি দলিল কোথায় আছে, আমি সেটা জানি। আমি আপনাদের দেখিয়ে দেব। কিন্তু পুলিস প্রথমে আমাকে সেখানে নিয়ে যায়নি। পরে পুলিস আমাকে সেখানে নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে আমি দেখতে পাই বহু জিনিস ভাঙা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। অফিসের সব কাঁচ ভাঙা। অফিস থেকে বহু কম্পিউটারও উধাও। আমাকে নিয়ে যাওয়ার আগেই ওরা সেখানে গিয়েছিল। অফিস থেকে সব ট্রাঙ্কও নিয়ে গিয়েছিল। আমাকে নিয়ে গিয়ে অফিসের নীচের তলার ঘর থেকে সারদার সমস্ত নথি ও কাগজপত্র বের করে পুলিস। তারপর সেগুলি নিয়ে যায়। অনেক নথি ছিল। সব নথি পুলিসের কাজে লাগবে না। আমি ২৩ দিন ধরে সারদার জমি ও মিডিয়া সংক্রান্ত সব তথ্য শর্টলিস্ট করে রাজীব কুমারকে দিয়েছিলাম। আমার বাছাই করে দেওয়া নথিপত্র দুটি আলাদা ট্রাঙ্কে ভরে পুলিস। আমি আলাদা করে নথি সংক্রান্ত তথ্যের সূচি বানিয়ে দিয়েছিলাম ল্যাপটপে। একটি ট্রাঙ্কে মিডিয়া সংক্রান্ত নথি ছিল। আরেকটি ট্রাঙ্কে ছিল জমি সংক্রান্ত নথি। আর সারদার গাড়ি সংক্রান্ত তথ্য পেন ড্রাইভে করে আমি দিয়েছিলাম।"

আরও পড়ুন, সিবিআই-কে বিভ্রান্ত করতে উন্নততর ভিওআইপি ও বাউন্স প্রযুক্তি ব্যবহার করছেন রাজীব!

দেবযানীর এই বয়ানকেই রাজীবের বিরুদ্ধে মোক্ষম অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে সিবিআই। প্রসঙ্গত, প্রাক্তন পুলিস কমিশনারের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগ এনেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। রাজীবকে গ্রেফতার করতে চাওয়ার কারণ হিসেবে আদালতের কাছে বার বারই এই কথা তুলে ধরেছেন সিবিআই আইনজীবীরা। এখন গতকাল আলিপুর আদালত রায় দিয়ে জানিয়েছে, রাজীবের বিরুদ্ধে ধর্তব্যযোগ্য অপরাধ রয়েছে। তাই কোনও পরোয়ানার দরকার নেই। সিবিআই নিজের ক্ষমতাবলেই তদন্তের স্বার্থে তাঁকে গ্রেফতার করতে পারে।

.