সিবিআই-এর প্রশ্নবাণ ও মদন...
র্যাপিড ফায়ারের মতো একের পর এক প্রশ্ন। আপাতভাবে নিরামিষ। কিন্তু একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। সিবিআই সূত্রে খবর, এই প্রশ্নজালেই জড়িয়ে গেছেন মদন মিত্র। একটি বিশেষ রিপোর্ট। VO: সিবিআই অফিসারদের প্রশ্নের মুখে গোড়া থেকেই অস্বস্তিতে ছিলেন মদন মিত্র। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়,
ব্যুরো: র্যাপিড ফায়ারের মতো একের পর এক প্রশ্ন। আপাতভাবে নিরামিষ। কিন্তু একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। সিবিআই সূত্রে খবর, এই প্রশ্নজালেই জড়িয়ে গেছেন মদন মিত্র। একটি বিশেষ রিপোর্ট। VO: সিবিআই অফিসারদের প্রশ্নের মুখে গোড়া থেকেই অস্বস্তিতে ছিলেন মদন মিত্র। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়,
আপনি কি সুদীপ্ত সেনকে চিনতেন?
হ্যাঁ চিনতাম।
কীভাবে চিনতেন?
উনি নিজেই এসেছিলেন আমার কাছে। এক ব্যবসায়ী হিসেবে এসেছিলেন। একটি অনুষ্ঠানের নিমন্ত্রণ নিয়ে।
আপনি জানতেন সুদীপ্ত সেনের কীসের ব্যবসা?
বিষদে জানতাম না কীসের ব্যবসা।
যে কোনও ব্যবসায়ী এসে আমন্ত্রণ জানালে যান?
পরিচিত হলে তবেই যাই।
তাহলে যে বললেন, আগে চিনতেন না। কারোর মাধ্যমে পরিচয় হয়েছিল?
সম্ভবত আমার কোনও পরিচিত ওনাকে নিয়ে এসেছিলেন।
তিনি কে?
আমার ঠিক এখন মনে পড়ছে না।
এর পরে কি সুদীপ্ত সেনের সঙ্গে আপনার যোগাযোগ ছিল?
না সেভাবে যোগাযোগ ছিল না।
সুদীপ্ত সেন নিজে কিন্তু বলেছেন আপনার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল? (এই বলেই বয়ান দেখানো হয়)
সুদীপ্ত সেন কী দাবি করলেন তাতে কী এসে যায়।
তাঁর কর্মচারীরাও কিন্তু বলছেন, আপনার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন। আপনি বেশ কয়েকবার অফিসেও গেছেন। আপনি তো সারদার কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি ছিলেন?
বহু জায়গায় এভাবে সভাপতি ঘোষণা করে দেয়। আমি তো জানতেও পারি না।
সিবিআই অফিসার: সভাপতি আপনার সইসাবুদ করা প্রচুর কাগজপত্র কিন্তু পাওয়া গেছে।
মদন মিত্র: এই প্রশ্নে নিরুত্তর থাকেন মদন মিত্র।
এর বাইরেও পেশ করা হয় সুদীপ্ত সেনের সঙ্গে কথপোকথনের কললিস্ট, সারদার কর্মচারীদের বয়ান, সারদার সঙ্গে মদন মিত্রের সম্পর্ক প্রমাণে বহু স্টিল ফটো ও ভিডিও ফুটেজ। সিবিআইয়ের তথ্য প্রমাণের কোনও জবাব ছিল না মদন মিত্রের কাছে।