বিজেপির আইনঅমান্যে আজও অশান্তি, শহরে বিজেপির কর্মসূচির জেরে ব্যাপক যানজট
বিজেপির আইনঅমান্যে আজও পুরোপুরি অশান্তি এড়ানো গেল না। গতকালের রায়গঞ্জের ঘটনার পর আজ যথেষ্ট তত্পর ছিল রাজ্য পুলিস। কিন্তু বাঁকুড়ায় আজও লাঠিচার্জ করতে হয় পুলিসকে।
ওয়েব ডেস্ক: বিজেপির আইনঅমান্যে আজও পুরোপুরি অশান্তি এড়ানো গেল না। গতকালের রায়গঞ্জের ঘটনার পর আজ যথেষ্ট তত্পর ছিল রাজ্য পুলিস। কিন্তু বাঁকুড়ায় আজও লাঠিচার্জ করতে হয় পুলিসকে।
বিজেপির আইন অমান্য ঘিরে গতকাল রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে রায়গঞ্জ। বিজেপি কর্মীদের ইট বৃষ্টি সামাল দিতে রবার বুলেট ছোড়ে পুলিস। ব্যবহার করা হয় জলকামানও। জেলাশাসক দফতরের সামনে বিজেপির মিছিল পৌছতেই শুরু হয়ে যায় ধস্তাধস্তি। অভিযোগ, গতকাল লাঠিচার্জও করে পুলিস।
বিজেপির আইন অমান্যে অশান্তি বাঁকুড়ায়। রায়গঞ্জে সোমবারের অশান্তির পর, বাঁকুড়ায় বিজেপির আইন অমান্য কর্মসূচি ঘিরে সতর্ক ছিল পুলিস। ডিএম অফিসের সামনে বিজেপি কর্মীসমর্থকেরা এগোনোর চেষ্টা করলে বাধা দেয় পুলিস।এতেই তেতে ওঠেন বিজেপি কর্মীরা। এরপর অবস্থা আয়ত্তে আনতে লাঠিচার্জ করে পুলিস। গ্রেফতার করা হয় একানব্বই জন বিজেপি সমর্থককে।
কলকাতা জেলা বিজেপির ডাকে প্রায় দেড়শ বিজেপি সমর্থক মিছিল করেন কলেজ স্ট্রিট থেকে। জানবাজার-এসএন ব্যানার্জি রোডের কাছে মিছিল আটকে দেয় পুলিস। প্রথম ব্যারিকেড ভেঙে ফেলেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা। এরপর দ্বিতীয় ব্যারিকেড ভাঙতে গেলে বাধা দেয় পুলিস। পরে বিজেপি কর্মীদের গ্রেফতার করে ছেড়ে দেওয়া হয়। এদিন বিজেপির মিছিল আসার চার ঘণ্টা আগে থেকেই জানবাজার এলাকার দোকান-বাজার বন্ধ করে দেয় পুলিস। তৈরি ছিল জলকামানও। তবে অপ্রীতিকর কোনও পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। তবে বিজেপির কর্মসূচির জেরে মধ্য কলকাতায় ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়।
জামিন পেলেন না বিজেপি নেতা রীতেশ তেওয়ারি। জামিন পেলেন না উত্তর দিনাজপুর বিজেপি জেলা সভাপতিও। ফের জেলে যেতে হল দুজনকেই। গতকালই বিজেপির আইন অমান্য কর্মসূচি থেকে তাঁদের গ্রেফতার করে পুলিস। গ্রেফতার করা হয় আরও ৩৫ জন বিজেপি কর্মীকে। আজ সবার জামিনের আর্জি খারিজ করে দেয় উত্তর দিনাজপুর জেলা আদালত। আগামিকাল তাঁদের ফের হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।