Mamata Banerjee: স্বাধীনতার লড়াইয়ের সূত্রে বাংলার সঙ্গে পঞ্জাবের সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর: মমতা
আন্দামানের সেলুলার জেলে গেলে দেখবেন যারা স্বাধীনতার সংগ্রামে এগিয়ে ছিল তাদের মধ্যে অন্যতম বাংলা ও পঞ্জাব। এভাবেই বাংলার সঙ্গে পঞ্জাবের একটা বরাবরের যোগসূত্র রয়েছে। এই জন্য কবিগুরু যখন জনগণমন লিখেছিলেন তখন আগে এসেছিল পঞ্জাবের নাম
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: স্বাধীনতার লড়াইয়ে পঞ্জাবের অবদান প্রচুর। বাংলার সঙ্গে একইভাবে উচ্চারিত হয় পঞ্জাবের নাম। সোমবার শহিদ মিনারে গুরুনানকের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষ্যে হওয়া অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। শিখদের বড় সব অনুষ্ঠানেই যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী। গুরু নানকের জন্মদিন উপলক্ষ্যে হওয়া অনুষ্ঠানেও যোগ দিলেন। অনুষ্ঠানে মমতা বলেন, কাল কৃষ্ণনগরে যেতে হবে তাই একদিন আগেই এই অনুষ্ঠানে এলাম। গুরুনানকজি-র জন্মজয়ন্তীতে কামনা করি সবার ভালো হোক। গোটা পৃথিবীর ভালো হোক। গুরুনানকজি, গুরু তোগবাহাদুরজি, ভগত সিংজি, সবাই পঞ্জাবের মানুষ। স্বাধীনতার যুদ্ধে শহিদ ভগত সিংজির সঙ্গেও বাংলার সম্পর্ক রয়েছে।
আরও পড়ুন-সেমিতে ভারত-ইংল্যান্ড, নেই এই 'অপয়া' আম্পায়ার! খুশিতে ভাসছেন ফ্যানরা
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আন্দামানের সেলুলার জেলে গেলে দেখবেন যারা স্বাধীনতার সংগ্রামে এগিয়ে ছিল তাদের মধ্যে অন্যতম বাংলা ও পঞ্জাব। এভাবেই বাংলার সঙ্গে পঞ্জাবের একটা বরাবরের যোগসূত্র রয়েছে। এই জন্য কবিগুরু যখন জনগণমন লিখেছিলেন তখন আগে এসেছিল পঞ্জাবের নাম। কারণ পঞ্জাবের মানুষ দেশের জন্য প্রাণ দিতেও তৈরি। পঞ্জাবের মানুষ আজও সেনায়, সীমান্তে দেশ রক্ষার কাজ করে চলেছেন। আপনাদের অনুষ্ঠানে এসে আমি খুশি। আপনার গুরুনানক ভবনের কথা বলেছিলেন।
কলকাতায় একটি গুরুনানক ভবন তৈরির আবেদন করেছিলেন কলকাতাবাসী শিখরা। এনিয়ে মমতা বলেন, আপনারা যা চেয়েছিলেন তার দাম ৬ কোটি টাকা। ওই সম্পত্তি সরকার দিতে পারবে না। তাই আপনাদের কাছে অনুরোধ আরও একটা আবেদন আপনারা করুন। সেখানে গুরুনানক ভবনের পাশাপাশি কোনও জনহিতকর কাজ করার কথা জানান। তাহলে আমি ওই সম্পত্তি এক টাকায় দিয়ে দেব। আবেদনে একটি বদল করলেই সমাধান হয়ে যাবে।