Mamata Banerjee: 'যাঁরা ডিএ নিয়ে মিছিল করছেন, তাঁদের জন্যই ৩৬ হাজার ছেলেমেয়ের চাকরি চলে গেল'!
প্রাথমিক চাকরি বাতিলের নির্দেশের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে যাচ্ছে রাজ্য, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী।
সুতপা সেন: প্রাথমিকে ৩৬ হাজার চাকরি বাতিল! 'আমার ডিভিশন বেঞ্চে যাব', জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। চাকরিহারা ও তাঁদের পরিবারের কাছে তাঁর আবেদন, 'মন খারাপ করবেন না। আমাদের সরকার সবসময় মানবিক। যত দূর লড়াই করতে হয় আইনত, আমরা লড়াই করব। আমার ধারণা, আপনারা ভালো থাকবেন'।
টেটে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল ২০১৪ সালে। সেই পরীক্ষার ভিত্তিতে প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগ করা হয় ২০১৬ সালে। চাকরি পান ৪২ হাজার ৫০০ জন। অভিযোগ, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে সংরক্ষণ নীতি ও ইন্টারভিউয়ের নিময় মানা হয়নি। এমনকী, যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, অ্যাপটিচিউড টেস্ট না নিয়েই নাকি ইচ্ছামতো নম্বর দেওয়া হয়েছে তাঁদের!
আরও পড়ুন: Janatar Darbar: : দ্রুত মিলবে সমাধান, মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ফের চালু হচ্ছে জনতার দরবার
কেন এই বেনিয়ম? মামলা দায়ের করা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। প্রাথমিক শিক্ষক পদে ৩৬ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'আমরা ডিভিশন বেঞ্চে যাচ্ছি। যারা ডিএ নিয়ে চিৎকার করে, তাদের জন্যই ৩৬ হাজার ছেলেমেয়ের চাকরি চলে গেল'। তাঁর আরও বক্তব্য,'ওরা ট্রেনিং নিয়েছে। যারা দাবি করেছিলো ওরা ট্রেনিং নেয় নি, সেটা ঠিক নয়। এটা দিল্লির একটি নির্দেশ ছিল'।
এদিকে ডিএ নিয়ে ফের আন্দোলনে ঝাঁঝ বাড়ছে। 'স্পর্শ কাতর' এলাকা হরিশ মুর্খাজি রোড মিছিল করার অনুমতি চেয়ে আদালতে দ্বারস্থ হয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। মিছিলের অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'অফিস টাইম বাদ দিয়ে মিছিল করুন। আপনাকে তো মিছিল করতে কেউ বারণ করছে না। কিন্তু এই ভাবে রাস্তা অবরোধ করে মিছিল করে আপনারা কি চাকরীর শর্ত ভাঙছেন না? প্রতিদিনই যেন কাজ না করার হুঙ্কারে পরিণত হয়েছে'। সঙ্গে হুঁশিয়ারি, 'ডিএ অধিকার নয়, অপশন। তাও আমরা দিয়েছি। যান না সেন্ট্রাল গর্ভর্নমেন্টের চাকরি করুন না'।