Md Salim: শাসক দলের নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, এবার জানান আলিমুদ্দিনে
মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে নিশান করে সেলিম বলেন, আজ যেসব দুর্নীতি উঠে আসছে তা তো হয়েছে পুলিসের নিষ্কৃয়তার জন্য। তার মানে পুলিসকে পঙ্গু করে রেখেছেন মমতা। উনি জানতেন দুর্নীতি হচ্ছে। কিন্তু এতদিন ব্যবস্থা নিতে দেননি
মৌমিতা চক্রবর্তী: নজরে পঞ্চায়েত। নির্বাচনের আগেই দুর্নীতি ইস্যুকে হাতিয়ার করে ময়দানে নামতে চলেছে সিপিএম। রবিবার সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম জানিয়েছেন, গ্রামের মানুষকে সঙ্গে নিয়েই আমরা গ্রামসভা বসাব। দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত তৃণমূল নেতাদের বিচার করবেন মানুষই। প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দুর্নীতি রুখতে মুখ্যমন্ত্রী কড়া নির্দেশ দিয়েছেন। ৯টি জেলার প্রশাসনকে বিশেষ সতর্ক করা হয়েছে। বলে দেওয়া হয়েছে পঞ্চায়েতে চোর ধর, এফআইআর কর। এনিয়ে আজ সেলিম বলেন, সিপিএম এর পক্ষ থেকে দেওয়া হবে একটি নম্বর। যেখানে সাধারণ মানুষ তাদের অভিযোগ জানাতে পারবেন। তাদের পরিচয় গোপন রাখা হবে। আলিমুদ্দিন এর দাবি, পাহারায় পাবলিক এ ইতিমধ্যেই ব্যাপক সাড়া মিলেছে। আমরা বলছি,'নজরে পঞ্চায়েত'। যা যা দুর্নীতি হয়েছে আমরা অভিযোগ করব। দেখব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায় কত দম। কটা ব্যবস্থা নেন।
আরও পড়ুন-Mamata Banerjee: 'পঞ্চায়েতে চোর ধর, এফআইআর কর', জেলা প্রশাসনকে কড়া নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর
মহম্মদ সেলিম বলেন, বিরোধীরা পঞ্চায়েতের নেতাদের নামে যখনই অভিযোগ করতে গিয়েছে তখন হয় তাদের কথা শোনা হয়নি, নয়তো তাদের মিথ্য়ে কেসে ফাঁসিয়ে জেলে ঢুকিয়েছে। আমরা বলছি, চোর ধর জেলে ভরো। আজকের খবর, বীরভূমে চাকরির জন্য তৃণমূল নেতা ৬ লাখ টাকা দিয়েছিল। এখন যখন সেই টাকা ফেরত না পেয়ে পুলিসের কাছে গিয়েছে তখন তাকে মিথ্য মামলায় জড়িয়ে জেলে পুরেছে। পুলিস পানি কেস দেয়। মুর্শিদাবাদ থেকে কোচবিহার পর্যন্ত মানুষ বলবে পানি কেস থেকে বাঁচলাম। এরপর রয়েছে গাঁজা কেস। গত ১০ বছর পুলিস যত গাঁজা কেস দিয়েছে তা হাজির করুক পুলিস। অনুব্রতর মতো নেতারা গত কয়েক বছরে পুলিসের সঙ্গে মিলে একটা নেক্সাস তৈরি করেছে, যে অভিযোগ করবে তাকেই জেলে ঢুকিয়ে দাও।
সেলিম বলেন, বগটুই কাণ্ডের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেছিলেন, বেআইনি অস্ত্র উদ্ধার করো। গতকাল বাসন্তীতে তৃণমূল তৃণমূলকে মেরেছে। অস্ত্র উদ্ধার হলে ওইসব হাতিয়ার এল কোথা থেকে? চিটফান্ডে কেলেঙ্কারির ঢাকনা যখন খুলে গিয়েছিল তখন উনি বলেছিলেন ৫০০ কোটি টাকার একটা ফান্ড করে দিচ্ছি। দিয়েছেন? মানুষ টাকা ফেরত পেয়েছেন? উনি যে ৯টা জেলার দুর্নীতির কথা বলছেন। আমরা বলছি গোটা রাজ্যের কথা। সারদাকাণ্ডে সুদীপ্ত সেন পালিয়ে যাওয়ার আগে পর্যন্ত রাজ্যে কোনও থানা চিটফান্ডের অভিযোগ নেয়নি। আমাদের কাছে তার প্রমাণ রয়েছে। এটাই পুলিস-দুর্নীতিগ্রস্তদের সঙ্গে সমঝোতা।
মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে নিশান করে সেলিম বলেন, আজ যেসব দুর্নীতি উঠে আসছে তা তো হয়েছে পুলিসের নিষ্কৃয়তার জন্য। তার মানে পুলিসকে পঙ্গু করে রেখেছেন মমতা। উনি জানতেন দুর্নীতি হচ্ছে। কিন্তু এতদিন ব্যবস্থা নিতে দেননি। এই যে টাকার পাহাড় তা কি শুধু পার্থর? এরকম তো জেলায় জেলায় রয়েছে। এই যে ব্যাপক দুর্নীতি তা কারও নজরে ছিল না? আমরা তো ২০১৩ থেকে এসব বলে আসছি।