চৈত্র সেলের হাঁকডাক আজ অতীত, করোনায় নিশ্চুপ নিউ মার্কেট
চৈত্রের মরসুমে ব্যবসা লাটে উঠেছে ব্যবসায়ীদের। এক বস্ত্র ব্যবসায়ী জানাচ্ছেন, লকডাউনের পরও বাজার যে ভাল হবে, তা জোর গলায় বলা যাচ্ছে না
নিজস্ব প্রতিবেদন: চৈত্র মাসের আর কটা দিন বাকি। তারপরই বাংলার আরও একটি নতুন বছর ১৪২৭। চৈত্রের মাঝামাঝি থেকেই শুরু হয় ব্যবসায়ীদের ‘পৌষমাস’। নিউ মার্কেট থেকে গড়িয়াহাট, ভর-গরমেও উত্সব উত্সব মেজাজ। হরেক পসরা সাজিয়ে দোকানদারদের ‘সেল সেল’ হাঁকডাক! মার্চের মাঝামাঝি থেকে এপ্রিলের গোড়া পর্যন্ত বাঙালির ট্র্যাডিশনাল বিকি-কিনি চলে, তা হলো ‘চৈত্র সেল’। আজ যেন সবই অতীত!
লকডাউনের জেরে নিউ মার্কেট চত্বর শুনশান। মনে হতেই পারে প্রাগৈতিহাসিকের কোনও এক সময়ে দাঁড়িয়ে আছেন আপনি। ঝাঁপ বন্ধ সব দোকানের। নিউ মার্কেটের এক ব্যবসায়ীর কথায়, ‘এ সময় আমাদের বিক্রি-বাটা তুঙ্গে থাকতো। প্রচুর মালও মজুত করা হয়ে গিয়েছে। লকডাউন হওয়ার পরই পাল্টে গেল ছবিটা।’ শুধু মহানগর কেন রাজ্যের প্রায় সব জায়গায় একই দৃশ্য।
আরও পড়ুন- করোনা সঙ্কটে প্রবাসী বাঙালিদের বাবা-মাদের দেখভাল, বিধাননগর পুলিসকে স্বীকৃতি টেক্সাস প্রশাসনের
চৈত্রের মরসুমে ব্যবসা লাটে উঠেছে ব্যবসায়ীদের। এক বস্ত্র ব্যবসায়ী জানাচ্ছেন, লকডাউনের পরও বাজার যে ভাল হবে, তা জোর গলায় বলা যাচ্ছে না। করোনার প্রভাব সর্বত্র। কিন্তু কত দিন এ ভাবে চলবে জানি না। পেটে তো টান পড়ছেই। করোনার তাণ্ডব কোথায় যে শেষ সত্যিই কারোর জানা নেই। আসছে বৈশাখ। কাল-বৈশাখির ঝড়ে করোনা ধুয়ে-মুছে সাফ হয়ে যাক, এখন এই আশায় হয়ত বুক বাঁধছে বাঙালি।