করোনা সঙ্কটে প্রবাসী বাঙালিদের বাবা-মাদের দেখভাল, বিধাননগর পুলিসকে স্বীকৃতি টেক্সাস প্রশাসনের

ধাননগর  পুলিসের এই দায়িত্ববোধ, সচেতনতা দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আজ পৌঁছে গিয়েছে বিদেশেও। সদূর আমেরিকা টেক্সাসের পুলিস বাহবা দিল বিধাননগর পুলিসকে। 

Reported By: কমলিকা সেনগুপ্ত | Updated By: Apr 9, 2020, 10:46 AM IST
করোনা সঙ্কটে প্রবাসী বাঙালিদের বাবা-মাদের দেখভাল, বিধাননগর পুলিসকে স্বীকৃতি টেক্সাস প্রশাসনের

নিজস্ব প্রতিবেদন: ছেলেমেয়েরা বাইরে থাকেন। কেউ কর্মসূত্রে, কেউবা বিয়ে করে বাইরে সেটেলড্। কিন্তু দেশে একাই রয়েছেন বৃদ্ধ বাবা-মা। করোনার জেরে গোটা বিশ্বে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সকলেরই কপালে চিন্তার ভাঁজ। ছেলেমেয়েদের ছাড়া আরও যেন অসহায় বৃদ্ধ বাবা-মা। আর তাঁদের কথা মাথায় রেখেই এগিয়ে এসেছিল পুলিস। বিধাননগর এলাকার প্রবাসী বাঙালিদের বাবা-মাকে দেখভালের দায়িত্ব নিজ কাঁধে তুলে নিয়েছিল বিধাননগর পুলিস। কখন তাঁদের কী প্রয়োজন, তাঁদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস রয়েছে কিনা, সেবিষয়ে ওয়াকিবহাল থাকা-এসবই করেছে পুলিস। আর বিধাননগর  পুলিসের এই দায়িত্ববোধ, সচেতনতা দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আজ পৌঁছে গিয়েছে বিদেশেও। সদূর আমেরিকা টেক্সাসের পুলিস বাহবা দিল বিধাননগর পুলিসকে। 


বিধাননগর এলাকায় অনেক বৃদ্ধ দম্পতির সন্তানই বাইরে থাকেন। এই সঙ্কটকালীন পরিস্থিতিতে বাবা-মায়ের জন্য মন কেঁদেছে তাঁদেরও। কিন্তু পরিস্থিতির চাপে বাবা-মাকে দেখতে আসনে পারেননি তাঁরা। সেখানকার পুলিসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। কথা হয়েছিল বিধাননগর পুলিসের সঙ্গেও। তাঁদের বাবা-মাদের যাবতীয় দেখভাল করার আশ্বাস দিয়েছিলেন বিধাননগরের পুলিস কর্তারা। তা পূরণও করেছেন। আর তারই কৃতিত্ব হিসাবে সুদূর টেক্সাস থেকে এসে পৌঁছেছে একটি শংসাপত্র।

লকডাউনে বন্ধ মন্দির, নেই প্রণামী, অর্থকষ্ট মেটাতে এবার মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি পুরোহিতদের
উল্লেখ্য, করোনা পরিস্থিতিতে মোকাবিলায় গোটা দেশে নজির তৈরি করেছে কলকাতা পুলিস। দক্ষতার সঙ্গে রক্ষা করছেন আইনশৃঙ্খলা। সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে মানুষকে সচেতন করতে করছেন একাধিক পদক্ষেপ। কখনও গান গেয়ে, কখনও বা আবৃত্তি, আঁকার মাধ্যমে- মানুষকে সচেতন করে চলেছেন তাঁরা। পাশাপাশি করোনা আক্রান্ত রোগী ও রাজ্যে রক্তসঙ্কট মেটাতে রক্তদান শিবিরের আয়োজনও করেছেন। পুলিসের মানবিক চেহারা একাধিকবার মন কেড়েছে রাজ্যবাসীর। এবার মন কাড়ল  বিদেশবাসীরও। 

.