মেডিকেলে জমছিল করোনার নমুনা, অত্যাধুনিক যন্ত্র দিয়ে সমাধান মুখ্যমন্ত্রীর

করোনা আক্রান্ত সন্দেহে চিকিৎসাধীন রোগীরা দিনের পর দিন অপেক্ষায়। এদিকে করোনা নমুনার পাহাড় জমে যাচ্ছে। রিপোর্ট অমিল।

Updated By: Jun 5, 2020, 07:20 PM IST
মেডিকেলে জমছিল করোনার নমুনা, অত্যাধুনিক যন্ত্র দিয়ে সমাধান মুখ্যমন্ত্রীর

তন্ময় প্রামাণিক: কলকাতা মেডিকেলের সুপার স্পেশালিটি ব্লকের HDU-তে করোনা সন্দেহে ভর্তি আলিপুর-এর এক বৃদ্ধা। ৭ দিন আগে নমুনা গিয়েছে পরীক্ষার জন্য। অথচ এখনও রিপোর্ট মেলেনি। অন্যদিকে সারি উপসর্গ নিয়ে গ্রীন বিল্ডিং-এ ভর্তি আরও এক মহিলা। প্রায় ৪ দিন কেটে গেলেও আসেনি নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট। কলকাতা মেডিকেল কলেজের চিত্রটা সর্বত্র এমনই।

করোনা আক্রান্ত সন্দেহে চিকিৎসাধীন রোগীরা দিনের পর দিন অপেক্ষায়। এদিকে করোনা নমুনার পাহাড় জমে যাচ্ছে। রিপোর্ট অমিল। আর তার জেরেই ক্ষোভে ফেটে পড়ছেন রোগীর পরিবার। এ হেন একের পর এক অভিযোগে নাজেহাল স্বাস্থ্যভবনও। এবার নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের আধুনিক  RT-PCR মেশিন কিনে পরীক্ষা তড়িঘড়ি নমুনা পরীক্ষা শুরু হয়েছে মেডিকেলে। বৃহস্পতিবার রাত থেকে কলকাতা মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি ল্যাবরেটরীতে rt-pcr মেশিনে আধুনিক পদ্ধতিতে করোনার তার নমুনা পরীক্ষা শুরু হয়েছে। 

আরও পড়ুন: অশনিসংকেত! পুজোর আগেই ভয়াবহ ভূমিকম্পের সম্ভাবনা বাংলায়

আগে দিনে ২০ থেকে ২৫টি কর করোনার নমুনা পরীক্ষা হত। তবে এই অত্যাধুনিক মেশিনের সাহায্যে এবার থেকে দিনে ২০০টি করে নমুনা পরীক্ষা করা হবে। এক কথায় নতুন গতি এল আক্রান্তের নমুনা পরীক্ষায়। কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও স্বাস্থ্য ভবন সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিন এবং কলকাতা মেডিকেল কলেজের ল্যাবরেটরিতে প্রায় ৫০০টি নমুনা পরীক্ষার জন্য পড়ে রয়েছে।

অন্যদিকে হাওড়া থেকে একের পর এক নমুনা এসে জমছে স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনে। এদিকে কলকাতা মেডিকেল কলেজের নিজস্ব মাইক্রোবায়োলজি ল্যাব এবং সেখানকার পাঠানো নমুনাও জমে যাচ্ছে সেখানে। আর যার কারণে কার্যতই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে রোগীদের। দিনের পর দিন হাসপাতালেই পড়ে থাকতে হচ্ছে তাঁদের। 

আরও পড়ুন: দিনেদুপুরে হুগলির রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কে ডাকাতি, চাঞ্চল্য

সমস্যা রয়েছে আরও, রিপোর্ট দেরিতে আসায়, সাধারণ জ্বরের রোগীকেও অকারণে বেডে ভর্তি রেখে বাড়তি ৭-৮ দিন পর্যন্ত ফেলে রাখতে হচ্ছে, অন্যদিকে, যে সত্যিই করোনা আক্রান্ত তাঁর চিকিৎসা শুরু হতেও দেরি হচ্ছে।  রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের মন্ত্রী নির্মল মাজি বলেন, "অনেক মানুষের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। সেই নমুনা কিছু পরীক্ষার জন্য জমে যাচ্ছিল। রিপোর্ট পেতে দেরি হচ্ছিল। তাই মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে খুব দ্রুত একটি rt-pcr মেশিন কেনা হয়েছে। 

.