করোনা আতঙ্কের মধ্যেই NRS-এর ডাক্তার-নার্স সহ ৬৪ জনকে পাঠানো হল কোয়ারেন্টাইনে
স্বাস্থ্যভবন সূত্রে খবর, পরে নির্দিষ্টভাবে পিজিটি, হাউস্টাফ, ইন্টার্ন-সহ ৩৯ জন চিকিৎসককে কোয়ারেন্টাইনে রাখার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়
নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্ক, চিকিত্সকের আকালের মধ্যেই চাপে পড়ে গেল এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ। সেখানকার ৩৯ চিকিত্সককে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিল কর্তৃপক্ষ। এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে হাসপাতালের পরিষেবায়।
আরও পড়ুন-দেশজুড়ে ২৫,৫০০ তবলিঘি কর্মী কোয়ারেন্টাইনে; সিল করা হল হরিয়ানার ৫ গ্রাম: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক
নোবেল করোনাভাইরাস আক্রান্তদের চিকিৎসা করতে গিয়ে আগাম সতর্কতা না নিয়েই এমন বিপর্যয়। চিকিৎসকদের একাংশের অভিযোগ, রোগীদের সম্পর্কে আগে থেকে জানানো হলে বা রিপোর্ট ঠিক সময়ে এলে এমন বিপর্যয় হতো না। নোবেল করোনা আক্রান্ত কিনা সে বিষয়ে সঠিক তথ্য না থাকাতেই এমন ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার এনআরএস হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছিল নোবেল করোনাভাইরাস আক্রান্ত এক ব্যক্তির। হিমোফিলিয়া আক্রান্ত ওই ব্যক্তিকে প্রথমে জেনারেল ওয়ার্ডে রাখা হয়েছিল। পরে সিসিইউতে রাখা হয়। তাঁর লালারসের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট নভেল করোনাভাইরাস পজিটিভ আসে। শুরু হয়ে যায় হুলুস্থুল। হাসপাতালের অধ্যক্ষ সুপার-সহ ৪৫ জন চিকিৎসককে কোয়ারেন্টাইনের জন্য চিহ্নিত করা হয়। চিহ্নিত করা হয় ১৬ জন নার্সকেও। নজরে রাখা হয় স্বাস্থ্যকর্মীদেরও।
আরও পড়ুন-করোনায় আর্থিক ক্ষতি থেকে রাজ্যকে টেনে তুলতে নোবেলজয়ীর নেতৃত্বে গ্লোবাল বোর্ড : মুখ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যভবন সূত্রে খবর, পরে নির্দিষ্টভাবে পিজিটি, হাউস্টাফ, ইন্টার্ন-সহ ৩৯ জন চিকিৎসককে কোয়ারেন্টাইনে রাখার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়। এন আর এস মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রের খবর, ওই ৩৯ জন চিকিৎসককে বাড়ি এবং হোটেলে কোয়ারেন্টাইনে রেখে দেওয়া হয়েছে। ১৪ দিন পর তাঁরা হাসপাতালে কাজে যোগ দেবেন। কয়েকজন স্বাস্থ্যকর্মীকে রাজারহাট কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। সবেমিলিয়ে পরিষেবাতে এই মুহূর্তে চিকিৎসকের আকাল এনআরএস হাসপাতালে। এ বিষয়ে অবশ্য হাসপাতাল সুপার, অধ্যক্ষ কিংবা স্বাস্থ্য ভবন কোন কিছু জানাতে নারাজ।