আত্মহত্যার চেষ্টা আরও এক সিটিসি কর্মীর
দীর্ঘদিন বেতন না পেয়ে হতাশায় আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন রাষ্ট্রায়ত্ত্ব পরিবহণ সংস্থা সিটিসির এক কর্মী। বেলগাছিয়া ট্রামডিপোয় কর্মরত এই কর্মীর নাম গোপাল চন্দ্র দে। ৯০ শতাংশ অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে আরজিকর হাসপাতালে। চিকিতসকরা জানিয়েছেন, ওই কর্মীর অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক।
দীর্ঘদিন বেতন না পেয়ে হতাশায় আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন রাষ্ট্রায়ত্ত্ব পরিবহণ সংস্থা সিটিসির এক কর্মী। বেলগাছিয়া ট্রামডিপোয় কর্মরত এই কর্মীর নাম গোপাল চন্দ্র দে। ৯০ শতাংশ অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে আরজিকর হাসপাতালে। চিকিতসকরা জানিয়েছেন, ওই কর্মীর অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক।
কয়েকমাস আগে গলায় ফাঁস লাগিয়ে নিজেকে শেষ করেছিলেন বিক্রম সিং। এখন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন গোপাল দে। কারণ একই। দীর্ঘদিন ধরে বেতন না পাওয়া। বোনাস, ডিএ, অ্যাডভান্সের টাকা না পেয়ে পরিবারে নেমে আসা অনটন। তার জেরে চরম হতাশা। সবমিলিয়ে রাজ্যে ক্ষমতায় পালাবদলের পর গোপালবাবু ষষ্ঠ সরকারি পরিবহণকর্মী, যিনি আত্মঘাতী হবার চেষ্টা করলেন। মঙ্গলবার রাতে রাজারহাট নারায়নপুরে ২ নম্বর নেতাজিপল্লীর বাড়িতে গায়ে আগুন দেন তিনি। আরজিকর হাসপাতালের বার্ন ওয়ার্ডের ৩৪ নম্বর বেডে এখন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন ৪৮ বছরের মানুষটা।
অগাস্টের বেতন পেয়েছেন ১০ই সেপ্টেম্বর। তারপর কেটে গেছে অক্টোবর। প্রায় শেষ নভেম্বর। তিন ছেলে ও স্ত্রীকে নিয়ে কষ্টের সংসার কার্যত আর টানতে পারছিলেন না পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী গোপালবাবু। বেলগাছিয়া ট্রাম ডিপোয় স্টোর হেল্পার পদে কর্মরত তিনি। অথচ আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়া মানুষটাকে একবার দেখতেও আসেননি সিটিসি চেয়ারম্যান, পরিবহণ সচিব বা পরিবহণমন্ত্রী।