Garden Reach: মোবাইল গেমে প্রতারণা! কোটি কোটি টাকা 'আত্মসাৎ' গার্ডেনরিচের আমিরের
গার্ডেনরিচে কুবেরের খাজানা! ব্যবসায়ী নিসার খানের বাড়িতে টাকার পাহাড়। উদ্ধার হল সোনার গয়নাও।
পিয়ালী মিত্র: মোবাইলে প্রতারণার 'গেম'। ই-ওয়ালেটে টাকা রাখলে কমিশন দেওয়ার টোপ! কীভাবে কোটি কোটি টাকা 'আত্মসাৎ' করতেন আমির? পর্দাফাঁস করল ইডি। গার্ডেনরিচ কাণ্ডে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য।
গার্ডেনরিচে কুবেরের খাজানা! ৮ মেশিন এনে চলছে গোনা। ব্যবসায়ী নিসার খানের বাড়ি থেকে এখনও পর্যন্ত কত টাকা উদ্ধার? ইডি সূত্রে খবর, নগদ ১২ কোটি! টাকা রাখা ছিল ঘাটের তলায়, এমনকী হাঁড়িতেও! কলকাতা বন্দরে কন্টেনারের ব্যবসা ছিল নিসারের। পরে এক্সপোর্ট ও পরিবহণের ব্যবসাও শুরু করেন তিনি।
আরও পড়ুন: EXCLUSIVE: গরু, কয়লার পর ইডির নজরে বালি-পাথর পাচার, তদন্তের সবুজ সংকেত দিল্লির
বাড়িতে এত টাকা এল কোথা থেকে? ইডির তরফে জানানো হয়েছে, একটি মোবাইল অ্যাপ চালু করেছিলেন ব্যবসায়ী নিসার খানের ছেলে আমির। নাম, ই-নাগেটস। শুধু তাই নয়, ই-ওয়ালেটের মাধ্যমে সেই অ্যাপে কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগও করা হয়েছিল। কেন? ই-ওয়ালেটে টাকা রাখলে কমিশনের টোপ দেওয়া হয়েছিল। বস্তুত, প্রথমদিকে কমিশনের টাকা দিয়ে দেওয়া হত ই-ওয়ালেটে। ফলে যাঁরা বিনিয়োগ করতেন, তাঁরা সহজে ই-ওয়ালেট থেকে টাকা তুলেও নিতে পারতেন। স্বাভাবিক কারণেই এই মোবাইল গেমটির আকর্ষণ বেড়ে গিয়েছিল অনেকেই।
তারপর? হঠাৎ করেই ওই অ্যাপটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। মুছে ফেলা হয় যাবতীয় তথ্য। এমনকী, ভুয়ো অ্যাকাউন্টে রাতারাতি গায়েব হয়ে যায় কোটি কোটি! কীভাবে এমনটা হল? ইডি সূত্রে খবর, ২০২১ সালে পার্কস্ট্রিট থানায় প্রথম অভিযোগ দায়ের করা হয় ফেডারেল ব্যাঙ্ক। তদন্তে গার্ডেনরিচে ব্যবসায়ী নিসার খানের বাড়িতে হদিশ পাওয়া যায়। তাহলে কি এটা নিছকই প্রতারণার ঘটনা? গার্ডেনরিচে এখনও পর্যন্ত যে পরিমাণ টাকা উদ্ধার হয়েছে, তাতে সন্দিহান ইডি-র আধিকারিকরা। বরং তাঁদের অনুমান, কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তি নিসার খানের কাছে টাকা গচ্ছিত রেখেছিলেন।
এর আগে, এদিন সকালে কলকাতার ৬ জায়গায় একযোগে তল্লাশি চালান ইডির আধিকারিক। এরপরই গার্ডেনরিচে ব্যবসায়ী নিসার খানের বাড়ির ঘাটে তলায় ৫০০ ও ২ হাজার টাকার নোটের বেশ কয়েকটি বাণ্ডিল উদ্ধার হয়। খাটের এত টাকা কোথা থেকে এল? তদন্তকারীদের দাবি, টাকার উৎস সম্পর্কে কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি নিসার। ঘড়িতে তখন ৩টে। টাকার গোনার মেশিন নিয়ে ওই ব্যবসায়ীর বাড়িতে হাজির হন ব্যাঙ্ক কর্মীরা।