খাস কলকাতায় ন্যায্যমূল্যের মাছের দোকান
ওয়েব ডেস্ক: বর্ষায় ইলিশ আকাশছোঁয়া? চড়া দামে ভুলতে বসেছেন পাবদা-ভেটকির স্বাদ? ওষুধের মতো এবার খাস কলকাতায় ন্যায্যমূল্যের মাছের দোকান । পাড়ায় পাড়ায় স্টল, ভ্রাম্যমাণ গাড়ি। দামে সস্তা, পাতেও টাটকা।
মাছে-ভাতে বাঙালি কথাটা বহু ব্যবহারে ক্লিশে। মত্স্য ধরিব খাইব সুখে স্লোগানও এখন ব্যাকফুটে। জেটগতির কর্পোরেট যুগে মাছ ধরার সময় কই। তাই পুরনো স্লোগান বদলে এখন মত্স্য কিনিব খাইব সুখে। মাছ এখন আর নিছক খাদ্য নয়। মাছ হল পূর্ণতা, শুচিতা, ব্রত, পার্বণ, স্ত্রী-আচার, সৌভাগ্য ও মঙ্গলের প্রতীক। সক্কালবেলা থলি হাতে মাছের বাজারে এক চক্কর ঢুঁ মারা বাঙালির সহজাত অভ্যেস। যেখানে থরে থরে সাজানো কাতলা, ভেটকি, রুই, পাবদা, পারশে, তেলাপিয়া, চিংড়ি, মৌরলা, চারাপোনা। ইলিশ-চিংড়ি ভালবাসেন দুপারের মানুষই। বাঙাল-ঘটি তর্ক নামমাত্র। কিন্তু সাধ থাকলেও অনেক সময় সাধ্যের অভাবে মাছ আর পাতে পড়ে না। মাছে-ভাতে বাঙালির মত্স্যপ্রেম তাই উসকে দিতে এবার উদ্যোগী খোদ মুখ্যমন্ত্রী। ন্যায্যমূল্যের ওষুধের দোকানের মতো এবার খাস কলকাতায় ন্যায্যমূল্যের মাছের দোকান।
মধ্যবিত্তের কথা মাথায় রেখে ন্যায্যমূল্যে ওষুধের দোকান শুরু হয় রাজ্যে। সরকারি হাসপাতালের ভিতর কম দামে ওষুধ পান মানুষ। এবার সেই ফর্মুলায় ন্যায্যমূল্যের মাছের দোকান। মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছায় রাজ্য মত্স্য দফতরের উদ্যোগ।
বাজারের চেয়ে কেজিতে অন্তত ৩০-৪০ টাকা কমে পাওয়া যাচ্ছে সাধের মাছ। ক্যাপ্টেনস ভেড়ি, বিধাননগর, করুণাময়ী, AJ ব্লক, চিনার পার্ক, এন্টালি মার্কেট, যাদবপুরের মতো জায়গায় খোলা হয়েছে ৮টি স্টল। ২১টি ভ্রাম্যমাণ গাড়িতেও বিক্রি হচ্ছে টাটকা মাছ।
অ্যাকোয়ারিয়ামে রুই, কাতলা, বাটা, চারাপোনা, তেলাপিয়া। একদম জ্যান্ত। লাফাচ্ছে মহানন্দে। শুধু কলকাতাই নয়, ফ্রেজারগঞ্জ, শান্তিনিকেতন, দিঘা, মেমারি, শিলিগুড়িতেও শুরু হয়েছে ন্যায্যমূল্যের মাছের দোকান। খুব শিগগিরই গোটা রাজ্যের মানুষকে কম দামে টাটকা মাছ খাওয়াবে রাজ্য মত্স্য দফতর।